বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুর ব্যথা এখন ঘরে ঘরে। সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট, উঠতে বসতে কষ্ট, বসতে কষ্ট, রাতে পা সোজা করে ঘুমোতে কষ্ট একাধিক সমস্যা হয়। আর হাঁটুতে ব্যথা হলে নীচেও বসা যায় না তেমনই পা মুড়েও কিন্তু বসা যায় না। ইদানিং কালে হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট তাই খুবই জনপ্রিয়। নি রিপ্লেসমেন্ট, নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট এসবের দিকে প্রচুর মানুষ এখন ঝুঁকেছেন। তবে এই হাঁটু ব্যথার কারণ কী? বাতের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, লিগামেন্টে সমস্যা হলে সেখান থেকে বাতের ব্যথা হতে পারে। আবার শরীরের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলে সেখান থেকেও হাঁটুতে ব্যথা হয়। কারণ অতিরিক্ত ওজনে হাঁটুর উপর অনেকটাই চাপ পড়ে। যে কারণে হাঁটুর ব্যথা এড়াতে প্রথমেই ওজন কমাতে হবে।
বয়স বাড়লে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ে। যেখান থেকে বয়স্কদের পায়ে ব্যথা হয়। এখন অল্পবয়সীদেরও কিন্তু হাঁটুর ব্যথা হয়। দুটি হাড়ের মাঝে থাকে কার্টিলেজ। এই কার্টিলেজ যদি শুকিয়ে যায় বা কোনও কারণে যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখান থেকেই আসে হাঁটুর সমস্যা।
পায়ে যদি প্রচন্ড ব্যথা হয়, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়, হাড় বেড়ে যায়, পা ফুলে যায় তাহলেই হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে, ডায়াবেটিস থাকলে, হাড়ের উপর খুব বেশি চাপ পড়লে হাঁটুর ব্যথা হয়। এছাড়াও শরীরের ওজন অত্যধিক বাড়লেও হাঁটচুর ব্যথা হয়। হাঁচুর কাছে লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া এবং হাঁটুর নমনীয়তা কমে গেলে তখনই বুঝতে হবে হাঁটুর কোনও সমস্যা হয়েছে।
হাঁটুর ব্যথা কমাতে হলে আগে ওজন কমাতেই হবে। এর পাশাপাশি নিজেকে অনেক বেশি ফ্লেক্সিবেল থাকতে হবে। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতেই হবে। তবেই কিন্তু কমবে হাঁটুর ব্যথা। হাঁটুর ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতেই হবে। পাশাপাশি হাড়ের জোর বাড়বে এমন সব খাবার বেশি করে খেতে হবে। এর সঙ্গে ফল, দুধ, ছানা, ডিম সিদ্ধ এসব বেশি করে খেতে হবে। এসবের আগেও কিন্তু নিজের ওজন কমাতেই হবে।