বাতজ্বর (Rheumatic Fever) নিয়ে অনেকের ধারনা পরিষ্কার নয়। অনেক বাড়িতে বাচ্চাদের বাতজ্বর হয়। সেক্ষেত্রে এই রোগ নিয়ে পরিষ্কার ধারনা না থাকার জন্য চিকিৎসা সঠিক হয় না। পরবর্তীতে সেই বাচ্চা যখন বড় হয়, নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগে। তার মধ্যে হার্টের রোগের যোগও রয়েছে। ছেলেবেলায় কারও যদি বাতজ্বরের সঠিক চিকিৎসা না হয়, তা হলে সেই ব্যক্তির হার্টের রোগের প্রবল সম্ভবনা থাকে। আপনার বাড়ির খুদের বাতজ্বর হলে, চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করবেন না। তা হলে বিপদ হতে পারে। জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ।
সম্প্রতি TV9 Bangla-র হেলথ প্লাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার অতনু সাহা, বিশেষজ্ঞ কার্ডিয়াক সার্জন (নায়ারণা-আরএন টেগোর হসপিটাল)। সেখানে তিনি রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ নিয়ে নানান তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে উপায়ও জানিয়েছেন, যে কী ভাবে বোঝা যাবে যে কোনও ব্যক্তির বাতজ্বর হয়েছে।
ডাক্তার অতনু সাহা বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন অনেক রোগী আসেন যাঁরা বলেন, ছেলেবেলার বাতজ্বর হয়েছিল। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা হয়নি। এখন হাঁটতে গেলে বুক ধড়ফড় করে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। গাটে গাটে ব্যথা হচ্ছে। জয়েন্টে ব্যথা ও জ্বর হচ্ছে। এক্ষেত্রে বলব রিউম্যাটিক ফিভার (বাতজ্বর) হলে ছোট বয়সে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সারিয়ে তোলা উচিত। তা হলে পরে হার্টের ৪টে ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীরে তার প্রভাব পড়ে। এমনকি ১০-২০ বছর পর বা ৩০ বছর পরও এই রোগের প্রকোপ রোগীর উপর পড়ছে।’
সব ভাইরাল জ্বর আবার হার্টে প্রভাব ফেলে না। বিশেষজ্ঞ কার্ডিয়াক সার্জন, ডাক্তার অতনু সাহা বলছেন, ‘সব ভাইরাল ফিভার হার্টে এফেক্ট করছে না। রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে। কিছু কিছু ব্লাড টেস্টে বোঝা যায় জ্বর রিউম্যাটিক নাকি ভাইরাল।’
শরীরের অবহেলা করলে ঠিক এক সময় তা জানান দেয়। তাই যে কোনও রোগ হলেই তা পুরোপুরি নিরাময় করা উচিত। চিকিৎসায় অনিচ্ছার জায়গা বা অবহেলার জায়গা আনা উচিত নয়।