বাঙালিদের নতুন বছর শুরু বৈশাখে, পয়লা বৈশাখ যেমন ঐতিহ্যের সঙ্গে উদযাপন করা হয় তেমনই প্রতি বছর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সারা বিশ্বের সঙ্গে মেতে ওঠে বাঙালিরাও। আগে শহরাঞ্চলে নিউ ইয়ার পার্টি, বর্ষশেষ উৎসব এসবের প্রচলন বেশি ছিল। এখন গ্রাম-শহর সব জায়গাতেই হই হই করে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে, সঙ্গে বিদায় পুরনোর। এবার বছর শেষ আর সপ্তাহও শেষ। ফলে জোড়া ছুটির আনন্দে ভাসছে মানুষ। এছাড়াও অনেক অফিসে এই সময় টানা ছুটি থাকে। চারিদিকেই উৎসবের মেজাজ। রাস্তা সেজেছে রঙিন আলোর মালায়। কোথাও আলপনাও দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এসব সেজে উঠেছে নতুন করে। সঙ্গে জিভে জল আনা খাবার তো আছেই। বছর শেষের রাতে অনেক জায়গাতেই আজ সারা রাত অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত হয়েছে। কেউ করবেন পিকনিক, কেউ যাবেন বারে এছাড়াও বাড়িতে জমিয়ে হবে হাউস পার্টি। আজ থেকে ৫ বছর আগেও ৩১ ডিসেম্বর পালনের এমন উদ্যোগ ছিল না।
জমাটি আড্ডা মানে খাওয়া থাকবেই। যেহেতু শীতের রাতে পার্টি তাই গা গরম করার একটা ব্যবস্থাও থাকবে। এবার অনেকেরই মদ্যপান করে শরীর খারাপ করে। তবে জানেন কি ভরাপেটে নাকি খালিপেটে মদ্যপান করবেন?
একেবারে খালিপেটে মদ্যপান করা ঠিক নয়। কারণ তাতে মদ সরাসরি পাকস্থলিতে গিয়ে পৌঁছয় তা হজম হয় না। আর তার আগে হালকা কোনও খাবার খেলে অ্যালকোহল সেই খাবারকে আস্তে আস্তে ভাঙে। ফলে মদ ঠিকমতো হজম হতে পারে। অন্যদিকে যদি কিছু না খেয়ে মদ খান তাহলে তা পাকস্থলীর মাধ্যমে সরাসরি ক্ষুদ্রান্তে পৌঁচ্ছে যায় আর রক্ত দ্রুত অ্যালকোহল শোষণ করে। এর ফলে সরাসরি মস্তিষ্ক এপং হৃৎপিণ্ডে প্রভাব পড়ে। অ্যালকোহল দ্রুত পেটে গেলে সেখান থেকে নেশাও অনেক বেশি হয়ে যায়। খালি পেটে মদ্যপানে খুব দ্রুত শরীর খারাপ হয় তাই এই ভুল করবেন না।
খালিপেটে আর ভরপেটে মদ্যপান নয়। এমনভাবে খাবার খান যাতে একটা সমতা বজায় থাকে। খুব বেশি খাবার খাবেন না আবার পেটও একদম খালি রাখবেন না। হালকা খাবার খান, বেশি ভাজা নয়। খুব সামান্য স্ন্যাকস খেয়ে পছন্দের পানীয় হাতে নিতে পারেন। সঙ্গে খেতে পারেন শসা। এছাড়াএ কাবাব গ্রিলড চিকেন, স্যালাড, গ্রিলড ফিশ এমনই খাবার খান। রুটি খেলেও ভাত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।