Cold Drinks Side Effects: গরম পড়তে বোতল বোতল কোল্ড ড্রিংক্স খাচ্ছেন, তেষ্টা মিটলেও দেহে জলের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে কি?

megha |

Apr 18, 2024 | 9:00 AM

Summer Health: ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে। এই গরমের মধ্যে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে বাঙালির। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে ঠান্ডা কোল্ড ড্রিংক্স মোটেই কোনও সমাধান নয়।

Cold Drinks Side Effects: গরম পড়তে বোতল বোতল কোল্ড ড্রিংক্স খাচ্ছেন, তেষ্টা মিটলেও দেহে জলের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে কি?

Follow Us

গরম বাড়তে শুরু করলেই কোল্ড খাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই কোল্ড ড্রিংক্স কিনে খেয়ে ফেলেন। আর রাস্তায় বেরিয়ে জল তেষ্টা পেলে, অনেকে সেই পিপাসাও মেটান ক্লোড ড্রিংক্স। আবার উইকএন্ড বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে চুমুক দেন চিলড বিয়ারে। অনেকের মতে, ঠান্ডা বিয়ার খেলে নাকি শরীরে স্বস্তি মেলে। কিন্তু জানেন কি, এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে।

৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে। এই গরমের মধ্যে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে বাঙালির। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে ঠান্ডা কোল্ড ড্রিংক্স কিংবা সপ্তাহান্তে চিলড বিয়ার মোটেই কোনও সমাধান নয়। বরং, এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

সোডাযুক্ত মিষ্টি পানীয় খেতে ভাল লাগলেও এর কোনও গুণ নেই। মূলত ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এই অবস্থায় কোল্ড ড্রিংক্স শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করে দিতে পারে। তাছাড়া কোল্ড ড্রিংক্সে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। এতে দেহে তাৎক্ষণিক এনার্জি মিললে, পরবর্তী সময়ে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি মেলে।

গরমের মধ্যে ঠান্ডা সোডাযুক্ত মিষ্টি পানীয় খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। এই মারাত্মক গরমের মধ্যে হঠাৎ করে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে ফেললে শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাক ও গলায় থাকা ‘সিলিয়া’ (সরু নালির মতো অংশ) নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখনই বাড়ে সর্দি, কাশি, টনসিলাইটস, ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়ার সমস্যা।

গরমকালে তেষ্টা মেটাতে ঘন ঘন কোল্ড ড্রিংক্স খাচ্ছেন। এতে ওজন বাড়ছে। এই ধরনের পানীয়তে অত্যধিক পরিমাণে শর্করা, ক্যালোরি ও প্রিজারভেটিভ থাকে, যা মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। নিয়মিত এই ধরনের পানীয় খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। পাশাপাশি এতে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড হাড়ে ক্যালশিয়ামের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। এর জেরে অল্প আঘাতেই হাড় ভাঙতে পারে।

গরমে শরীরে তরলের ঘাটতি পূরণ করতে ডাবের জল, ফলের রস, লেবুর জল, দইয়ের তৈরি লস্যি বা ঘোল খান। এগুলো দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতাও প্রদান করে।

Next Article