বাড়ির খাবার এখন অধিকাংশেরই মুখে রোচে না। পরিবর্তে সকলেই চান সুস্বাদু খাবার খেতে। রোজ রোজ তেল মশলাদার খাবার খাওয়া যে একেবারেই ঠিক নয় তা সকলেই জানেন, বোঝেন। তারপরও ঘরে খাবার থাকতেও আঙুল চলে যায় পরিচিত ফুড অ্যাপে। অর্ডার করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘরে এসে হাজির হয় খাবার। মধ্যে রাতে আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করলেও তা যেমন অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই হলে যায় তেমনই বাড়িতে চিকেন রান্না হয়েছে, ঘরে গড়া রুটির বদলে চাউমিন চাইলেও তা এসে যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে ততি জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে তবে সঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে হাজারো সমস্যা। রোজ রোজ তেল বেশি দেওয়া রান্না খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড। ডায়াবেটিস তো আছেই। শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টক্সিন না বেরোতে পারলে সমস্যা আরও জটিল হয়। হার্টেও তৈরি হয় ব্লকেজ। সেই সঙ্গে শরীরে জাঁকিয়ে বসে এই সব রোগ।
বাইরের খাবার মানেই তার মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। যা শরীরে কোলেস্টেরল, চর্বি এবং টক্সিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। দিনের পর দিন এই খাবার খেলে ওবেসিটি, হার্টের নানা সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে। পরবর্তীতে এখান থেকে হতে পারে ক্যানসারও। আজকাল ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে হাইপারটেনশন, উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস এসব তো আছেই। আর তাই বাইরের খাবার খেয়ে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে প্রথমে তা ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
বাইরের খাবার রোজ খেলে মোটা হবেনই। আর তাই সপ্তাহে ১৫০-৩০০ মিনিট মতো শরীরচর্চা করতেই হবে। জোরে জোরে হাঁটা, জগিং, সাঁতার এসব চালিয়ে যেতে হবে।
বেশি খাওয়া একেবারেই চলবে না। কম খান কিন্তু বারেবারে খেতে হবে।
বেশি করে ফল খান। সবজি খান। যে খাবারের মধ্যে ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকে তাই বেশি করে খান। সঙ্গে ডায়েট তো চলবেই। নিজের লোভ সংবরণ করতেই হবে।
প্রতি ৬ মাস ন্তর নিজের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা করান। সুগার, কোলেস্টেরস, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটিলিভার, কিডনি, হার্টের রুটিন কিছু টেস্ট করান। সেই রিপোর্ট নিয়ে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন এবং তাঁর পরামর্শ মতো ওষুধ খাবেন। নিয়মের মধ্যে থাকলে তবেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই তা চিকিৎসককে জানাবেন।