Ginger Side Effects: খুশখুশ কাশি ঠেকাতে আদা তো খাচ্ছেন, বেশি খেয়ে ফেলছেন না তো!
Ginger For Health: আদা শরীরের জন্য ভাল কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা দূর হবার পরিবর্তে পেট ফেঁপে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই আদা শরীর বুঝে খান
ঠান্ডা-গরমে সর্দির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশি। সেই সঙ্গে গলা ব্যথা, নাক-চোখ দিয়ে গড়াচ্ছে জল। আর কাশি, গলা চুলকুনির থেকে গলাকে আরাম দিতে ঘন ঘন আদা চায়ে চুমুক দিচ্ছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ মা-ঠাকুমাদের টোটকা মেনে মুখে কয়েককুচি আদা ফেলে রাখছেন। এতেও কিন্তু গলার আরাম হয়। বিকেলে আদা-গোলমরিচ দিয়ে চা খাওয়া অনেকের অভ্যাস। তবে আদার প্রচুর গুণ রয়েছে। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হলেও বার বার আদা দিয়ে লাল চা খেতে পারলে উপকার হয়। নিরামিষ থেকে আমিষ যে কোনও রান্নাতেই প্রধান উপকরম হল আদা। বিভিন্ন ছোট-খাটো শারীরিক সমস্যায় ঘরোয়া উপাদান হিসেবে আদার ভূমিকা কিন্তু বিরাট। তবে অতিরিক্ত আদাও কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
অতিরিক্ত পরিমাণ আদা খেলে সেখান থেকে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও আসতে পারে হার্টের সমস্যা, পেটখারাপ, ডায়ারিয়ার সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে বাড়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি। যাঁরা নিয়মিত ভাবে ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খান তাঁদের ক্ষেত্রে আচমকা রক্তচাপ কমে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে। আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন দিনের মধ্যে চার গ্রামের বেশি আদা না খেতে। বেশি পরিমাণে আদা খাওয়া হলেই সেখান থেকে গ্যাস, অম্বল, শরীরে ফোলা ভাব, বমির সমস্যা, পেটে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। যে কোনও ভেষজ উপাদানমাত্রই তা যে সবার শরীরে সমানভাবে কাজ করবে এমনটা কিন্তু নাও হতে পারে। নিয়মিত ভাবে আদার জল খেয়ে অনেকের ওজন কমেছে। তাই বলে এই টোটকা যে আপনার ক্ষেত্রেও কার্যকরী হবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। ফলে যে সব বিষয়গুলি সম্বন্ধে সচেতন থাকবেন।
হার্টের সমস্যা- হৃদস্পন্দনের উপরল প্রভাব ফেলে আদা। নিয়মিত ভাবে আদা খেলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি, অনিদ্রা এসবও আসতে পারে। আবার অতিরিক্ত আদা খেলে হঠাৎ করে রক্তচাপ নেমে যেতে পারে। যা কিন্তু হৃদরোগের কারণ। যে কারণে আদা কম খেতে বলা হয়।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে- আদা জরায়ুর সংকোচনে সাহায্য করে। আর তাই গর্ভবতী মহিলাদের আদা এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। এছাড়াও আদা রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত আদা খেলে পেট গরম হয়ে যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের আদা এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। অনেকের মতে বেশি আদা খেলে গর্ভস্থ শিশুর উপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে- যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সুগারের সমস্যায় ভুগছেন, অতিরিক্ত আদা তাঁদের জন্য মোটেও ভাল নয়। শরীরের হঠাৎ রক্তচাপ কমিয়ে দেওয়া, মাথা ঘোরার মত সমস্যা এসব কিন্তু বেশি আদা খেলে হতে পারে। আসতে পারে ক্লান্তিও। এছাড়াও সুগারের ওষুধের সহ্গে আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই আদা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।