শরীর থাকলে সমস্যা তো হবেই। আর এই সব সমস্যার মধ্য়ে সবথেকে বেশি অভিযোগ আসে পেট নিয়ে। পেট ব্যথা, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। খেতে তো সকলেই ভালবাসেন। আবার এমনও অনেকে আছেন যাঁরা হালকা খাবার খাওয়ার পরেও ভোগেন পেটের সমস্যায়। আর এই সমস্যা এমনই, যার জন্য সারাদিনের কাজ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ শরীরের মধ্যে অস্বস্তি থাকলে কোনও কাজই মন দিয়ে হয় না। অনেকেই ভয়ের চোটে কোনও খাবার খাওয়ার আগেই একটা গ্যাসের ওষুধ কিংবা হজমের ওষুধ খেয়ে নেন। এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অনেক কিছু থেকেই হতে পারে। এর জন্য নিজে চিকিৎসা না করে প্রথমেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। হালকা তেল মশলাদার খাবার সব সময় শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু মাঝে মধ্যে তেল-ঝোল খেলেই যদি অসুবিধা হয় তাও কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়। ক্রমাগত যদি পেটের সমস্যার জন্য ওষুধ খেয়ে যান সেখান থেকে কিন্তু হতে পারে মানসিক সমস্যাও। এমনকী স্ট্রেস, মানসিক চাপ কিংবা অ্যাংজাইটি থেকেও আসতে পারে এই সমস্যা। সেই সঙ্গে এই সমস্যা কিন্তু তখন দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায়।
সম্প্রতি বেশ কিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পেটের সমস্যা কিন্তু আমাদের জন্য একরকম অ্যালার্ম। কারণ অনেক জটিল রোগের সূত্রপাতই হয় পেটের সমস্যা থেকে। অতিরিক্ত উদ্বেগ, ক্লান্তি থেকেও কিন্তু পেটে বেশি পরিমাণ অ্যাসিড তৈরি হয়। এছাড়াও যদি কোনও কিছু নিয়ে আপনি অতিরিক্ত ভাবেন সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে গ্যাসের সমস্যা। যেমন
প্রায়শই ডিপ্রেশনে ভুগছেন- সারাদিন যদি মন বিষণ্ণ থাকে, ডিপ্রেশনের মধ্যে থাকেন তখন ঘুম খাওয়া কোনওটাই নিয়ম মাফিক হয় না। কখনও অতিরিক্ত খাওয়া হয় কখনও আবার দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা হয়ে যায়। এছাড়াও ঘুমের ব্যাঘাত তো হয়ই। খাওয়া এবং ঘুম একের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয় তখন কিন্তু গ্যাস-অম্বল হতে বাধ্য।
কারোর সঙ্গে দেখা করার পর আপনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন- অনেক ক্ষেত্রে এরকম হয় যে কারোর সঙ্গে দেখা করার পর কিংবা কারোর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর আপনার মন খারাপ হয়ে যায়। বিরক্ত লাগে। অনেকেই ভাবেনতাঁর মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেল। মনের মধ্যে এত কিছু চলতে থাকলে তার প্রভাব কিন্তু পড়ে শরীরের উপর।
ডাক্তার বললেন কোনও সমস্যা নেই- পেটের ব্যথা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা নিয়ে আপনি চিকিৎসকের কাছে গেলেন। কিন্তু চিকিৎসক আপনার যাবতীয় পরীক্ষা করে বললেন যে আপনার কোনও শারীরিক সমস্যাই নেই। কিন্তু আপনার মনে হল চিকিৎসক ঠিক বলছেন না। এই সব অ্যাংজাইটি থেকেও কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হয় গ্যাসের সমস্যা।
কারোর সঙ্গে কথা বললে ভাল থাকেন- গ্যাস, অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকলে মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কিন্তু যিনি আপনার সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনেন, কেন আপনার হজম হচ্ছে না সেই সমস্যার সমাধান করে দেন, আপনার অতিরিক্ত বাজে কথাতেও তিনি বিরক্ত হচ্ছেন না- সব মিলিয়ে আপনি যেন মন থেকে ভাল থাকছেন। কিন্তু কদিন পরই আবার একই সমস্যা। ফলে আপনার পেট খারাপের সমস্যা যে মানসিক এর থেকে বোঝাই যায়।
আরও পড়ুন: Salt for health: কোশার সল্ট নাকি টেবিল সল্ট, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বাছবেন?