Bizarre: হঠাত করে দেদার বিকোচ্ছে ফ্লেভারড কন্ডোম! কারণটা জানলে চোখ উঠবে কপালে

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jul 31, 2022 | 12:49 PM

Condom Addiction in West Bengal: দুর্গাপুরের একাংশে চলছে এমন বেআইনি কাজকর্ম। এমন ঘটনায় তরুণ প্রজন্ম যে আগামী দিনে সম্ভাব্য সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Bizarre: হঠাত করে দেদার বিকোচ্ছে ফ্লেভারড কন্ডোম! কারণটা জানলে চোখ উঠবে কপালে

Follow Us

টুথপেস্ট থেকে শুরু করে জুতোর কালি,পেট্রোল থেকে শুরু করে কাশির ওষুধ বা অ্যারোসল স্প্রে, বা এমনকি স্যানিটাইজার পর্যন্ত যে কোনও ব্যাক্তিকে আসক্ত (Addinction)করে তুলতে পারে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কন্ডোমও (Condoms)। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা বিদেশে নয়, ঘটেছে বাংলাতেই (West Bengal)। প্রচণ্ড আসক্তির জন্য অদ্ভূত উপায়ে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে (Durgapur) হঠাত করে বেড়ে গিয়েছে কন্ডোম কেনার হিরিক। ভাবছেন, আচমকা হলটা কী ? জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্ত যেমন দুর্গাপুর সিটি সেন্চার, বিধাননগর, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোনে ফ্লেভারড কন্ডোমের বিক্রি বেড়েছে আকাশচুম্বী। কন্ডোমের দেদার বিক্রির বৃদ্ধির সঙ্গে নেশা করার এক অদ্ভূত উপায় সামনে এসেছে। আর সেই কৌশল নিয়েই শুরু হয়েছে যত মাথাব্যাথার কারণ। গোটা ঘটনার সঙ্গে দুর্গাপুরের নাম জড়ানোয় বেশ হতবাক এলাকার মানুষজন।

ঘটনাটা কী? অভিযোগ, হঠাত করে দুর্গাপুরের কন্ডোম কেনার হিরিক পড়েছে। সেই সংখ্যাটা এমনই যে বেশ চোখে লাগার মতন। অনেকের দাবি, এই কন্ডোম কেনার পিছনে কোনও যৌন ইচ্ছার যোগ নেই। পুরোটাই আসক্তির জন্য কিনছে নতু প্রজন্মের একাংশ। বেশ কয়েকজেনর কথায়, জলের মধ্যে ফ্লেভারড কন্ডোম ভিজিয়ে রাখলে তা পরে অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থে পরিণত হতে পারে। আর সেই কৌশলকেই অবলম্বন করে নেশায় বুঁদ থাকছে এলাকার যুবকেরা। বর্তমানে হাতের কাছে সস্তায় নেশার ব্সতু হিসেবে সেই তথ্যকে কাজে লাগিয়ে আসক্ত হচ্ছে তারা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্‍সকদের মতে, এ ইষযএ অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত। কন্ডোমের ল্যাটেক্স যৌগ কীভাবে জলের সঙ্গে মিশে তা অ্যালকোহলে পরিণত হতে পারে তা নিয়ে ধন্দে চিকিত্‍সক মহল। তবে ফ্লেভারড কন্ডোমে যে সুগন্ধি থাকে তা যুবকদের আসক্তির কারণ হতে পারে। দুর্গাপুরের একাংশে চলছে এমন বেআইনি কাজকর্ম। এমন ঘটনায় তরুণ প্রজন্ম যে আগামী দিনে সম্ভাব্য সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কন্ডোমের বিক্রির হার হঠাত বেড়ে যাওয়াটা চোখে লেগেছে ওষুধের দোকানের মালিকদেরও। অনেকের মতে, গরম জলে কন্ডোম রাতে ভিজিয়ে রাখলে অ্যালকোহল-যুক্ত যোগগুলির জৈব অনু ভেঙে যাওয়ায় সেই জল পান করলে নেশার কাজ করে। দোকানের মালিকদের মতে, এই ফ্লেভারড কন্ডোমের অধিকাংশ ক্রেতাই হল পুরুষ। তবে মহিলারাও কম যান না। তারাও নেশা করার জন্য কন্ডোম কেনেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সস্তায় কোনও নেশা বস্তুর জন্য তরুণ প্রজন্ম নানা রকম কৈশল অবলম্বন করে থাকে। কারণ যুবকের কাছে ব্যয়.বহুল ওষুধ বা পণ্য কেনার অর্থ থাকে না। তাই অদ্ভূত উপায়ে নেশা করার জিনিস পাওয়ার ইচ্ছে থেকেই যায়। সস্তায় নেশ করার এটি একটি বিচ্ছিন্ন উপায় নয়। এমন কৌশলে আসক্তি কোনওমতেই স্বাস্থ্যকর বা নিরাপদ নয়। গত কয়েকমাসে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে দ্বিগুণ। নানাভাবে সেই মাদক তৈরি করা হচ্ছে। পরিবর্তনও হচ্ছে। সমাজে মাদক সেবনের কৌশল দিন দিন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাদক আসক্তিকে পরিণত হচ্ছে। তবে ফ্লেভারড কন্ডোমের মাধ্যমে মাদকাসক্তিতে তরুণ প্রজন্মকে এক বিপদের দিকে ঢেলে নিয়ে যাচ্ছে। রাশ না টানলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এই সমাজ।

Next Article