Drinking Water: রোজ ৮ গ্লাস জল পানের দরকার কি সত্যিই আছে? সমীক্ষায় জানা গেল আশ্চর্য সত্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Dec 06, 2022 | 12:57 PM

Glasses Of Water: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, রোজ নিয়ম করে ৮ গ্লাস জল পান অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে।

Drinking Water: রোজ ৮ গ্লাস জল পানের দরকার কি সত্যিই আছে? সমীক্ষায় জানা গেল আশ্চর্য সত্য

Follow Us

আমরা সেই কোন কাল থেকে শুনে আসছি, প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল পান (8 Glasses Of Water) করা দরকার। অথচ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, রোজ নিয়ম করে ৮ গ্লাস জল পান (Drinking Water) অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। নতুন এই সমীক্ষা সম্পর্কিত প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স পত্রিকায়। ‘মানুষের পানীয় জলের চাহিদার (Water) তারতম্য পরিবেশগত এবং জীবনধারার কারণের সঙ্গে সংযুক্ত’— শীর্ষক ও. সমীক্ষা পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন (Weather Change) এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে সতর্কবাণী—আগামী দিনে মানুষের পানীয় জলের চাহিদা অনুযায়ী জলের জোগান পাওয়া কঠিন হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সমীক্ষাটি ২৬ টি দেশের সব বয়সি ৫৬০০ জন মানুষের উপর করা হয়েছিল। গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের ‘পাঁচ শতাংশ ডাবলি লেবেলড’ সমৃদ্ধ ১০০ মিলিলিটার জল দিয়েছিলেন। এই বিশেষ ধরনের জলের কিছু হাইড্রোজেন অণু ডিউটেরিয়াম নামক উপাদানটির একটি স্থিতিশীল আইসোটোপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল।

ওই জল অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কত দ্রুত শরীর থেকে বাড়তি ডিউটেরিয়াম বেরিয়ে যাচ্ছে তা নির্ধারণ করলেই বোঝা যাচ্ছিল, মানবদেহ কত দ্রুত জল পরিবর্তন করছে।

এই তথ্য থেকে জান যায়, যত বেশি জল পান করা হবে ও বেরিয়ে যাবে তত বেশি মাত্রায় জল পান অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে।

সমীক্ষা থেকে আরও জানা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সি পুরুষের এবং ২০ থেকে ৫৫ বছর বয়সি মহিলাদের জল পান ও জল ত্যাগের মাত্রা ছিল সবচাইতে বেশি। পুরুষদের জল পান ও ত্যাগের মাত্রা কমে যায় ৪০ বছর বয়সের পর। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি হ্রাস পায় ৬৫ বছর বয়সের পরে। সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে জল গ্রহণ ও ত্যাগের মাত্রা সবচাইতে বেশি থাকে। সারা শরীরে যত জল থাকে তার ২৮ শতাংশ তারা প্রতিদিন পরিবর্তন করে। আবার একই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন পুরুষরা মহিলাদের তুলনায় অর্ধেক লিটার বেশি জল পান করেন।

গবেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা পরিষ্কারভাবে নির্দেশ করছে সকলের জন্য একই মাত্রায় জলপানের প্রয়োজন নেই। ফলে সকলের জন্য ৮ গ্লাস জল পানের যে ধারণা এতদিন চলে আসছে তাও সঠিক নয়।

তুলনামূলক গরিব দেশগুলির নাগরিক যাঁরা শারীরিক পরিশ্রম করে জীবনধারণ করেন তাঁদের তুলনায় উন্নত দেশে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে যে ব্যক্তিরা অলস জীবনযাপন করেন তাঁদের জল গ্রহণ ও ত্যাগের মাত্রা অনেক কম।

গবেষকরা আরও বলছেন, ‘জলপান নিয়ে সংশোধিত উপদেশাবলির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ সমগ্র পৃথিবীতেই জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরিবর্তন ঘটেছে জলবায়ুর। আগামীদিনে দু’টি বিষয় পানীয় জলের জোগান নিয়ে মানবজাতিকে চিন্তার মুখে ফেলতে চলেছে।’

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)

Next Article