বিশ্বজুড়েই আজকের দিনটি পালন করা হয় অস্টিওপরোসিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। এই দিনটি World Osteoporosis Day হিসেবে পরিচিত। আজ নয়, বহুদিনই এই রোগের প্রকোপ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই রোগটি নির্ণয়ের জন্য নিয়মিত ভাবে পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। কারণ এই সমস্যা ফেলে রাখলে সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই রোগটির গুরুত্ব আজও অনেকে বোঝেন না। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা শুরু না করলে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। মূলত মেরুদণ্ড এবং হিপ জয়েন্টের হাড়কে প্রভাবিত করে। অনেক ক্ষেত্রে সেই প্রভাব মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১৮-৫৯ বয়সের মধ্যে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন আক্রান্ত এই অস্টিওপরোসিসে। এই সংখ্যাটা শুধুমাত্র ভারতেই।
অস্টিওপরোসিস হলে কি হয়
অস্টিওপরোসিস হলে শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এবং সেই সঙ্গে ভঙ্গুরও হয়ে যায়। এমনকী একটু হাঁচি-কাশি হলে তাতেও হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে থাকতেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
কেন হয় এই সমস্যা
নতুন হাড় গঠন এবং পুরনো হাড় ভেঙে যাওয়া শরীরের খুব সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। ২০ দশকের গোড়ার দিকে এই সমস্যা আরও বেশি জাঁকিয়ে বসে সমাজে। মোটামুটি ৩০ বছর বয়সে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের হাড়ের গঠন সম্পূর্ণ হয়। হাড়ের ভর এবং ঘনত্ব ঠিক থাকে। শরীরে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন-ডি এর অভাব হলে, নির্দিষ্ট ধরণের ওষুধ, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকলে, অতিরিক্ত সিগারেট , অ্যালকোহল খেলে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।
অস্টিওপরোসিসের লক্ষণ
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, অস্টিওপরোসিসের কোনো উপসর্গ নেই। এজন্য একে মাঝে মাঝে নীরব রোগও বলা হয়। তবে হাঁটতে চলতে সমস্যা হলে, নিঃশ্বাসে সমস্যা হলে, শরীরে কোথাও ভাঙা থাকলে, হিপ জয়েন্টে সমস্যা থাকলে এবং কখনও কোনও উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গেলে এই রোগের সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি।
চিকিৎসা পদ্ধতি
অস্টিওপরোসিস সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। প্রবল অসুস্থতার ঝুঁকি কিছুটা কমানো যেতে পারে যদি নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম, ভিটামিন, সঠিক আহার এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। হাড়ের ভর কম হলেই এই রোগে ভোার সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। আর তাই নিয়মিত ভাবে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতে হবে।