ভারতের সব ঘরেই চায়ের তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাড়িকে অতিথি আসলে এক কাপ চা না খাইয়ে কেউ ছাড়তে চান না। কেউ খান গ্রিন টি, কেউ ব্ল্যাক টি কেউ খান দুধ মিশিয়ে। আজকাল গ্রিন টি খাওয়ার যেমন চল হয়েছে তেমনই অনেকের পছন্দ হল ফ্লেভার্ড টি। চা-এর নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। এককাপ চা ছাড়া কোনও রকম আড্ডাই জমে না। চা-ও অনেকে রসিয়ে কষিয়ে বানান। প্রথমে দুধ ফুটতে দিয়ে প্রথমে তার মধ্যে আদা থেঁতো করে দেওয়া হয়, একে একে এলাচ গুঁড়ো মেশানো হয়। ফুটে উঠলে চা পাতা দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে গ্যাস অফ করে দেওয়া হয়। চা বানাতে কখনও দুধের মধ্যে সরাসরি চিনি দিয়ে ফুটানো উচিত নয়। চিনি আলাদা করে কাপে দিন।
আবার জল ফুটে উঠলে তার মধ্যে চা পাতা দিয়ে চেপে রাখতে পারেন। এতেও কিন্তু চা এর স্বাদ ভাল আসে। হার্ভার্ড স্কুলের মতে রোজ যদি ঠিকভাবে বানিয়ে চা খাওয়া যায় তাহলে অনেক রকম রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু ঠিক ভাবে চা না খেলেই পেটের মধ্যে তৈরি হয় গভীর ক্ষত। চা ঠিক ভাবে খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, অকাল মৃত্যু, হৃদরোগ, স্ট্রোক এসব আটকে দেওয়া যায়।
আর তাই যা কিছু অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন-
অতিরিক্ত গরম চা একেবারেই খাবেন না। হতে পারে খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর ক্যানসার। আর তাই ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি গরম চা একেবার খাবেন না। এতে খাদ্যনালী গলে পিণ্ড পাকিয়ে যায়।
চা-এর যেসব উপকারিতা রয়েছে
মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করে
চা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে ফেলে
স্মৃতিশক্তি হ্রাস ঠেকায়
ওজন কমাতেও চায়ের জুড়ি মেলা ভার
তবে ভেষজ চায়ের মধ্যে রোজ চা, লেমন চা এসবও খুব জনপ্রিয়। গ্রিন টি-এর মধ্যে এই সব ফ্লেভার বেশি পাওয়া যায়। তাই লেমন টি, হানি টি, রোজ টি এসব খেলে স্বাদে যেমন পরিবর্তন আসবে তেমনই শরীরের জন্য ভাল। যাঁরা একাধিকবার চা খান তাঁরা দুধ চা একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। কারণ তা শরীরের জন্য একরকম বিষ।