Diabetes: সুগার লেভেল মাপার সঠিক সময় কখন? ডায়াবেটিসের রোগীরা যা কিছু মেনে চলবেন…
Blood Sugar: টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হয়। খাবার খাওয়া আগে, খাবার খাওয়ার পর একাধিকবার সুগার মাপতে হয়।
৮ থেকে ৮০ এখন বহু মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের পিছনে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জীবনযাপন দায়ী। তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস বেশিরভাগ জন্মগত। কিন্তু সমস্যা হল, টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হয়। খাবার খাওয়া আগে, খাবার খাওয়ার পর একাধিকবার সুগার মাপতে হয়। কিন্তু দিনের ঠিক কোন সময়ে সুগার লেভেল মাপলে উপকার পাবেন জানেন?
ইনসুলিন হরমোন শরীরের জন্য অপরিহার্য। এই হরমোন কোষে কোষে গ্লুকোজ সরবরাহ করে। এখান থেকে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন। কিন্তু টাইপ-১ হল এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর এই হরমোন নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। তাই ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। এই কারণে খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে রক্তে শর্করার মাত্রা চেক করা জরুরি হয়ে পড়ে।
কিন্তু দিনের কোন সময়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ মাপা উচিত সেটাও জেনে রাখা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের মধ্যে অন্তত ৬ বার রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত। সকালে উঠে খালি পেটে প্রথমবার পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা করার আগে রাতে অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে আপনাকে। এরপর আবার ব্রেকফাস্ট করার ২ ঘণ্টা পর পরীক্ষা করুন।
লাঞ্চের ৩০ মিনিট আগে আবার রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করিয়ে নিন। এরপর আবার ডিনার করার আগে সুগার টেস্ট করিয়ে নিন। শেষবার ডিনার করার ২ ঘণ্টা পর পরীক্ষা করুন। তবে প্রত্যেকবার যে একই ফলাফল আসবে তা নয়। কারণ খাবার খাওয়ার আগে এবং খাবার খাওয়ার পর শর্করার পরিমাণ উনিশ-বিশ হয়ে যায়। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং, অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও সঠিক সময়ে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো জরুরি। সাধারণত চিকিৎসকেরা SGPT পরীক্ষার করানোর পরামর্শ দেন। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনি যদি ন্যূনতম নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে বশে থাকবে সুগার। নিয়মিত শরীরচর্চা করা, মানসিক চাপ না নেওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি মেনে চললেই ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।