শেষ এক মাস ধরে কাজের চাপ বেড়েছে পিয়াসার। ঠিকমতো করে ঘুম, খাওয়া কোনওটাই তার হয়নি। রোজকার রুটিন যদি এলোমেলো হয়ে যায় তাহলে ফ্যাট জমবেই। ফ্যাট জমলে শরীরে আসে হাজারো সমস্যা। ক্লান্তি আসে, ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনীয় সব হরমোনও ঠিকমতো কাজ করে না। বসে বসে কাজ করে পিয়াসারও ওজন বাড়ছিল। ওজন যে ভালই বেড়েছে তা টের পেল বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে। বাকি বন্ধুদের মাঝে ওর ফোলা গাল আর ডাবল চিন ভীষণ ভাবে ধরা পড়ছিল ক্যামেরার লেন্সে। ডাবল চিন যে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না একথা সকলেই জানেন। কাজেই নতুন করে সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে দুঃখ দেওয়ার জন্য এই প্রতিবেদন নয়। মনের দুঃখ খানিক কম করতেই রইল গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।
মুখের ফ্যাট বেশি হলে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়াও কিন্তু সহজ নয়। কমাতে বেশ খানিক সময় আর ধৈর্য লাগে। আর ওজন কমাতে হলে স্বাস্থ্যকর ডায়েট আর শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। দেখে নিন কিছু ব্যায়াম যা বলিরেখা দূর করবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্থূলতা থেকে মুক্তি দেবে।
গাল ফুলিয়ে রাখুন
যতটা সম্ভব গাল ফুলিয়ে রাখুন
মুখে বাতাসে ভর্তি করে আপনার গাল স্ফীত করুন।
১০ সেকেন্ডের জন্য বাতাস ধরে রাখুন।
এবার ১০সেকেন্ডের জন্য বাম দিকে এবং তারপর ১০ সেকেন্ডের জন্য ডানদিকে বাতাস ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
বাতাস ছেড়ে দিন, আস্তে আস্তে মুখ খুলুন। আপনার মুখে একটি বড় “ও” তৈরি করুন।
এই এক্সসারসাইজটি ৫বার করুন।
চোখ বড় করে খুলুন, আপনার ভ্রু উঁচু রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার ভ্রু কুঁচকেছে না। এবার তর্জনী আর মধ্যমা ভ্রূ এর মধ্যে রেখে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন।
মাছের মতো মুখের আকৃতি রেখে শ্বাস নিন ১৫-২০ সেকেন্ড। আবার তা ছেড়ে দিন। এরকম ১০ মিনিট করুন।
চুইংগাম চিবানো
এটি সবচেয়ে সহজ ব্যায়ামগুলির মধ্যে একটি। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুগার ফ্রি গাম। কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিটের জন্য চিবিয়ে খান। দিনের মধ্যে দুবার গাম চিবিয়ে নিন।
এসবের পাশাপাশি চেষ্টা করুন কম ক্যালোরির খাবার খেতে। সামগ্রিক ভাবে ওজন কমলে মুখের ফ্যাটও ঝরে যাবে।