আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সকলেই বিরক্ত। এই গরম, এই বৃষ্টি। সঙ্গে রোদের তেজ। বেলা বাড়তেই এমন রোদ আর গরম থাকে যে বাইরে বেরনো দায়। তবে কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতে তো হয়ই। ভাদ্রের গরমে শরীরের একাধিক উটকো সমস্যা এসে জোটে। এর মধ্যে প্রধান হল অন্ত্রের সমস্যা। গ্যাস, অম্বল, বদহজম, পেটখারাপ এসব লেগেই থাকে। আর পেটের সমস্যা হলে সেখান থেকে হতাশা, উদ্বেগ, মানসিক সমস্যা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও হজম ক্ষমতা কমলে সেখান থেকে বাড়ে অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও। অন্ত্রের প্রদাহ, এন্ডোক্রাইন সিস্টেমে সমস্যা, ইনফ্লামেটরি বাওয়াল ডিজিজ (IBD),ক্যানসারের মত সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। আর তাই পুষ্টিবিদরা বলছেন যদি শরীরের হজম ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে সেখান থেকে শরীরে পুষ্টির ব্যাঘাত ঘটে। আর তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। আর তাই যে সব ভেষজ রোজ খাবেন-
ত্রিফলা- আজ নয়, আদ্যিকাল থেকেই অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ত্রিফলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্রিফলার মধ্যে রয়েছে তিনটি ভেষজের মিশ্রণ। আমলা, বহেড়া এবং হরিতকি। হরিতকি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। বহেড়াতে রেচক ক্রিয়া ভাল হয়। আমলা পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
লিকোরিস- লিকোরিসও একটি জনপ্রিয় ভেষজ যা আমাদের হজম ক্ষমতা ভাল রাখে। পাশাপাশি পেটকে ভাল রাখতেও সাহায্য করে। লিকোরিসে গ্লাইসাইরিজিন নামের একটি যৌগ থাকে, যা প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে আমাদের স্বস্তি দেয়। যে কারণে পেট আরাম পায়, ঠাণ্ডাও থাকে। সেই সঙ্গে অম্লের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পুদিনা- পুদিনার মধ্যে রয়েছে মেন্থল, যা পাচনতন্ত্রের পেশী শিথিল রাখে এবং বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। রোজ পুদিনা পাতা খেতে পারলেও কিন্তু খুব ভাল।
আদা- বদহজমে দারুণ কার্যকরী হল আদা। আদার মধ্যে থাকে জিঞ্জারেল এবং শোগাওল- যা পাকস্থলীর সংকোচনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পাকস্থলিকে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বমি ভাব দূর করা, ক্র্যাম্প দূর করতে, ফোলা ভাব কমাতে এবং বদহজমের সমস্যা এড়াতে আদার জুড়ি মেলা ভার। গরম জলে আদা গ্রেট করে ফুটিয়ে ছেঁকে খেলে অনেক রকম উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা- প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে খুবই উপকারী হল অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার পাতায় থাকে বেশ কিছু উপকারী যৌগ আর মিউকিলেজ। যা পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।