বর্তমানে কিডনিতে পাথরের সমস্যা খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। যখনই শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখনই সেটা সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে আসে, যার কারণে কিডনিতে পাথরের তৈরি হয়। এখন এই সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠলেও একে হালকা ভাবে নেবেন না। তবে অনেক সময় এই পাথর এতই ছোট হয় যে তা দ্রুত ধরা পড়ে না। তবে এটাও ঠিক যে কিডনির ব্যথা সহ্য করা যায় না। কিন্তু অন্যান্য কিডনির রোগ সহজে ধরা পড়ে না। আপনার যদি কোনওভাবে কিডনিতে কোনও সমস্যা হয়, তবে তা শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলে। কিডনিতে পাথর ছাড়াও কিডনিতে সংক্রমণ, কিডনিতে ক্যান্সার, কিডনি ফেইলিয়রের মতো সমস্যায়ও মানুষ আজকাল বেশি ভুগছেন। কিন্তু সমস্যা হল অনেক ক্ষেত্রে একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেলেও আরেকটি দিয়ে শরীর কাজ চালিয়ে নেয়। ফলে প্রথম ধাপেই সচেতন হওয়া ভীষণ জরুরি। অন্যথায় দেরি হয়ে গেলে রোগীর প্রাণ অবধি যেতে পারে।
কিডনির পাথরের লক্ষণ-
*আপনার কিডনিতে পাথর হলে, আপনার পেটে এবং পিঠে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
*এতে বারবার বমি হবে, না হলে বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেবে।
*প্রস্রাব করার সময় রক্ত হতে পারে।
*ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রস্রাবে মারাত্মক জ্বালাভাব হতে পারে।
*জ্বর হতে পারে।
*হঠাৎ ঘাম হতে শুরু করবে।
*খিদের না পাওয়ার সমস্যা দেখা দেবে।
প্রতিরোধের উপায়-
কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা যেমন এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে, একই সঙ্গে এই সমস্যাকে প্রতিরোধেরও উপায় রয়েছে। কিডনিতে পাথর হলে যে কোনও সময় ব্যথা শুরু হতে পারে। এই ব্যথা কমাতে নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। আপনার বেশি করে জল পান করা উচিত যাতে আপনার পাথর না হয়। এছাড়াও আপনি আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে পারেন।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে পাথর কিডনিতে টক্সিন জমার কারণে দেখা দেয়। এর পাশাপাশি প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন বেরোনো, শরীরে ইউরিয়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোও রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান রয়েছে আয়ুর্বেদের কাছে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে ডায়েটে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে।
খাদ্যতালিকায় আদা রাখুন। আদা শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বার করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রয়োজনে আপনি আদার চা পান করতে পারেন। এতে লিভারও ভাল থাকবে।
ভারতের প্রতিটা রান্নাঘরে হলুদ পাওয়া যায়। এই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। মধুর সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খান, কিডনি সংক্রান্ত একাধিক রোগকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। কিডনির সংক্রমণ দূরে রাখতে ধনেকে ডায়েটে রাখুন। এই মশলাটিও শরীরকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয়।