রোদের নীচে আধ ঘণ্টার জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তরুণী। ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর কপালের ত্বক হয়ে গিয়েছে প্লাস্টিকের মতো। শুনে অবাক হচ্ছেন? বুলগেরিয়াতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বছর পঁচিশের সিরিন মুরাদ। আবহাওয়া ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সানবাথ নিতে গিয়ে রোদে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সিরিন। ৩০ মিনিট পর ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে তাঁর মুখে ব্যথা লাগছে এবং লাল হয়ে গেছে। তখনও তিনি বিষয় নিয়ে সচেতন ছিলেন না। পরদিন সকালে দেখেন তাঁর কপালের ত্বক হয়ে গিয়েছে প্লাস্টিকের মতো এবং ছাল উঠতে শুরু করেছে।
ওই যুবতী নিজেই শেয়ার করেছেন তাঁর মুখের ছবি, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তাঁর কপালের অংশের ত্বক কুঁচকে গিয়েছে। সিরিন নিজেই জানিয়েছেন যে, পরদিন সকালে তাঁর ত্বক অত্যন্ত টানটান হয়ে যায় এবং সেটা দেখে মনে হচ্ছিল যে তাঁর কপাল প্লাস্টিকের মতো হয়ে গিয়েছে।
তবে কিছুক্ষণ পরই সিরিন লক্ষ্য করেন যে তাঁর কপাল থেকে চামড়া উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি তাঁর ত্বকের উপর গোলাপি প্যাচ পড়ে যায়। সাধারণত রোদের নীচে কিছুটা সময় কাটাতে ট্যান পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।
সংবাদমাধ্যম দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তরুণী জানিয়েছেন যে, তিনি প্রথমে এসব কিছুই অনুভূত করেননি। তিনি যখন কপালে চাপ দেন তখন সামান্য ব্যথা হয়। কিন্তু পরদিনের অভিজ্ঞতা সত্যিই ভয়াবহ ছিল সিরিনের কাছে। তবে যখন চামড়া উঠতে শুরু করে তখন স্বস্তি মেলে বলে জানিয়েছেন সিরিন। বরং চামড়া উঠে যাওয়ার পর তাঁর ত্বক আরও ভাল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই অভিজ্ঞতা সিরিনকে সানস্ক্রিনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আপনি যতই মনে করুন যে আপনার ত্বক ভাল রয়েছে, ত্বক জ্বলবে না কিন্তু তাতেও সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটা ভীষণ জরুরি। আমি সাধারণত সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু আমি সত্যি সেদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলে গিয়েছিলাম।” সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে ত্বকের যে এমন পরিণতি হবে সেটা হয়তো ভাবেননি সিরিন। ত্বকের ছাল উঠে গেলেও স্বাভাবিক ত্বক ফিরে পেতে সিরিনের সাত দিনেরও বেশি সময় লেগেছে।