কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। ৪০ ডিগ্রিও অতিক্রম করে গিয়েছে পারদ। অসহ্যকর গরমে বিরক্ত ছোট থেকে বড় সকলেই। এই অবস্থায় শরীরকে সুস্থ রাখার একটাই পথ: প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কিন্তু জলই যথেষ্ট নয়। মারাত্মক গরমের মধ্যে ঘামও হচ্ছে দ্বিগুণ। শরীর থেকে জলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও বেরিয়ে যায়। এই অবস্থায় জলের সঙ্গে নিয়ম করে কিছু শরবত খেলে উপকার মিলবে। এক্ষেত্রে খেতে পারেন বেলের শরবত।
পেটকে ভাল রাখে: গরমকালে পেটের সমস্যা এড়াতে বেলের শরবত খান। বেল পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যাও এড়াতে পারবেন বেলের শরবত খেয়ে।
ডায়ারিয়ার ওষুধ: গরমকালে অনেকেই ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের সম্মুখীন হন। এই অবস্থায় বেলের শরবত খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। বেলের শরবত শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি পেটের গণ্ডগোল থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।
আলসার থেকে মুক্তি দেয়: বেলের শরবত থেকে আলসারের হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে। পেটের আলসারে মশলাদার খাবার খাওয়া চলে না। বেলের শরবতে থাকা ফাইবার আলসার উপশমে সাহায্য করে। সপ্তাহে ৩ দিন বেলের শরবত খেলেই সুস্থ থাকবেন।
সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: বেলের মধ্যে মেথানল নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার রয়েছে বেলের শরবতে। তাই এই পানীয় গরমকালে ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়: আরথ্রাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেলের শরবত খান। এই পানীয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমায়। বেলের শরবত খেলে জয়েন্টের ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের যত্ন নেয়: বেলের শরবতের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই পুষ্টি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে। ত্বকে কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে বেলের শরবত। এর জেরে ত্বক অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে।