আমাদের শরীরে দৈনিক যে সব মাইক্রোনিউট্রিয়েন্সের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে অন্যতম হল কার্বস। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয়। কারণ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও পাওয়া যায় এই কার্বস থেকেই। তবে সমস্যা হয়, এই কার্বস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ফ্যাট জমে, ওজন বাড়ে সেই সঙ্গে বাড়ে রক্ত শর্করাও। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের বেশিরভাগকেই কিন্তু লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত ওজন কমাতে এই ডায়েট খুবই কার্যকরী। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। আর তাই লো-কার্ব ডায়েট মেনে চললে অনেক সময়ই খিদে পায়। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এরকম সমস্যাও কিন্তু থাকে। আর সেই দুর্বলতাকে ঢাকতে অনেকেই অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেন। এতে কিন্তু কোনও কাজই হয় না। আর তাই এমন ভাবে ডায়েট মেনে চলুন যাতে খিদে থাকবে নিয়ন্ত্রণে সেই সঙ্গে পেটও ভরবে।
সবজি বেশি করে খান- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম করে সবজি বেশি করে খান। সবজির মধ্যে থাকে ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যে সব সবজির মধ্যে কার্বোহাই়ড্রেট কম পরিমাণে রয়েছে সেই সব সবজিই বেছে নিন। ঢেঁড়শ, লাউ, ফুলকপি, ব্রকেোলি, বেলপেপার, বিভিন্ন রকম শাক এসব যত বেশি সম্ভব রাখার চেষ্টা করুন।
জল বেশি করে খান- জল যদি পরিমাণের তুলনায় কম খান তাহলেও কিন্তু খিদে বেশি পেতে পারে। আর তাই বেশি করে জল খেতে হবে। যে কোনও খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পেট ভর্তি করে জল খান। এতে খাবার কম খাওয়া হবে। সেই সঙ্গে কিন্তু হজমেও বেশ কিছু সুবিধে পাওয়া যাবে। জল, স্যুপ, ডিটক্স ড্রিংক এসব রাখুন খাবার তালিকায়।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন- শরীরের জন্য কিন্তু ফ্যাটেরও প্রয়োজন আছে। আর তাই স্বাস্থ্যকর কিছু ফ্যাট অবশ্যি রাখুন ডায়েটে। যেমন বিভিন্ন রকম বাদাম, পরিমাণ মতো ঘি, চিজ এসব কিন্তু ঠিক ভাবে খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। সেই সঙ্গে পরিমাণমতো ভিটামিনো রাখতে হবে।
প্রোটিন বেশি করে খান- রোজকার ডায়েটে প্রোটিনও বেশি করে রাখুন। প্রোটিন যেমন আমাদের পেট ভরায় তেমনই কিন্তু পেশির গঠনেও সাহায্য করে। এছাড়াও প্রোটিন আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রোটিন আমাদের এনার্জিও দেয়।
কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ নয়- লো কার্ব ডায়েটের অর্থ হল তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া নয়। একেবারে কম করেই খান। ভাত, রুটি-সহ যে সব খাবারে বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে তার পরিমাণ কমিয়ে দিন। এতে শরীরে ফ্যাটও জমবে না। আর শরীর থাকবে সুস্থ। হঠাৎ করে কার্বোহাইড্রেট ছেঁটে ফেললে শরীর কিন্তু দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।