মানবশরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আমাদের হৃদযন্ত্র বা হার্ট। কারণ এই হার্টের সাহায্যেই সারা শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন বজায় থাকে। তাই হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সবসময় প্রয়োজন। মূলত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া, যথেচ্ছ ভাবে মদ-সিগারেট খাওয়া— এইসবের কারণে আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
তাই হার্টকে হেলদি রাখতে হলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। নাহলে যেকোনও বয়সেই হৃদযন্ত্রের জটিল অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। আরও জটিল হতে পারে সমস্যা। এমনকি বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন?
১। খাওয়াদাওয়া- যাঁদের হার্টের অসুখ রয়েছে তাঁরা কোনওভাবেই অতিরিক্ত তৈলাক্ত, ডিপফ্রাই, ভাজাভুজি বা বাইরের জাঙ্ক এবং ফাস্ট ফুড খাবেন না। এছাড়া যাঁদের এখনও হার্টের কোনও রোগ ধরা পড়েনি, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। সময়ে খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন। অনেকক্ষণ গ্যাপ দিয়ে খাবেন না। তেল এবং নুন খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত ফ্যাট কিংবা প্রোটিন যুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভাল। এছাড়া মদ, সিগারেট এড়িয়ে চলুন। ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন।
২। পরিমিত জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে জলে ঘাটতি হতে দেবেন না। শুধু পানীয় জল ছাড়াও ডাবের জল, লেবুর শরবত বা বাড়িতে বানানো অন্যান্য শরবত বা স্মুদি খেতে পারেন। তবে নুন-চিনির পরিমাণের দিকে অতি অবশ্যই নজর রাখবেন।
৩। নিয়মিত ব্লাড সুগার এবং প্রেশার চেক করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতে মেশিন কিনে রাখুন।
আরও পড়ুন- মেদ ঝরাতে ‘হাই প্রোটিন ডায়েট’, এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন
৪। প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শারীরিক কসরত করবেন না। ডাক্তারবাবু যেসব ব্যায়াম দেখিয়ে দেবেন, কেবলমাত্র সেগুলো অভ্যাস করলেই হবে।
৫। চেষ্টা করুন মানসিক স্ট্রেস, হতাশা, অবসাদ— এসব থেকে দূরে থাকতে। হৃদযন্ত্রের উপর মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে এই ধরণের মানসিক চাপ।