ওমিক্রনের সময় বড়দের তুলনায় অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছিল ছোটরা। এমনকী বেশ কিছু শিশুকে হাসপাতালে রেখেও চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আগে এবং পরে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশুদের। ওমিক্রনে আমাদের দেশেও অনেক শিশু আক্রান্ত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এবছরের ফেব্রুয়ারি ( ১৯ ডিসেম্বর-২০১৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি) মাস পর্যন্ত ৫-১১ বছরের অনেক শিশুই কিন্তু আক্রান্ত হয়েছে কোভিডে। এর নেপথ্যে কিন্তু টিকাকরণেই প্রসঙ্গই বার বার উঠে আসছে। কারণ এই বয়সী শিশুদের তখনও টিকাকরণ হয়নি। এছাড়াও কোভিডের আগের দুই তরঙ্গে শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত হবার হারও কম ছিল। বর্তমানে ১২-১৫ আর ১৫-১৮ বছর বয়সীদের জন্য এখন চলছে টিকাকরণ। কিন্তু ১১ বছরের নীচে কোনও শিশুই এখনও পর্যন্ত কোভিডের টিকা পায়নি।
আমেরিকাতে শিশুদের কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৮৭ শতাংশ শিশু আক্রান্ত হয়েছিল। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন- এর তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই বলা হয়েছে ওমিক্রনের সময় যত সংখ্যক শিশু কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদের কারোরই কোভিডের কোনও টিকা নেওয়া ছিল না। আর ৫-১১ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেই সংখ্যাটা ছিল ১,৪৭৫। ওমিক্রনের সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও প্রায় ৫৯৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
এরপরই চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, ৫-১১ বছরের শিশুদের মধ্যেও টিকাকরণ শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে এখন যে জনগোষ্ঠী কোভিডের সংস্পর্শে আসছে তাদের উপরও তীক্ষ্ণ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত কিছু শিশুর অবস্থা এমন ছিল যে, তাদের একেবারে শেষে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আইসিইউতে রেখেও বেশ কিছু শিশুর চিকিৎসা হয়েছিল। কিন্তু সেই সংখ্যাটা ছিল নিতান্ত কম। মাত্র ১৯ শতাংশ। যা ডেল্টার তুলনায় প্রায় কয়েক শতাংশ বেশি ছিল।
এছাড়াও ওমিক্রনের সময়ে যে সব শিশু আক্রান্ত হয়েছিল তাদের কিছুজনের ক্ষেত্রে স্নায়বিক সমস্যাও জটিল ছিল। প্রায় ৩৩ শতাংশের মধ্যে এই সম্ভাবনা ছিল। আবার যে ৩২ শতাংশ গুরুতর অসুস্থ হয়েছিল তাদের সকলের মধ্যেই কিন্তু ওবেসিট্র লক্ষণ ছিল। সেই সঙ্গে ছিল ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও। সেই গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যাদের মধ্যে হাঁপানির সমস্যা ছিল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ছিল তাদের ক্ষেত্রে সেই সব সমস্যাই কিন্তু আরও বেশি জটিল হয়েছিল। এবং তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। আমেরিকায় যে সব শিশুদের টিকা দেওয়া ছিল তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক শিশুই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর তাদের কাউকেই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়নি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Abdominal Fat: মন্ত্রের মত ঝরবে পেটের মেদ, এই ৫ খাবারে ভরসা রাখতে পরামর্শ পুষ্টিবিদের