Uric Acid: ওষুধ আর ডায়েট ছাড়া ইউরিক অ্যাসিড বশে রাখতে ভরসা হোক এই আর্য়ুবেদিক টোটকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jun 08, 2022 | 7:36 AM

Ayurveda: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হলে প্রথমেই প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে বলা হয় রোজকারের ডায়েট থেকে

Uric Acid: ওষুধ আর ডায়েট ছাড়া ইউরিক অ্যাসিড বশে রাখতে ভরসা হোক এই আর্য়ুবেদিক টোটকা
ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকবে এই টোটকাতেই

Follow Us

শরীরে রেচন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ক্ষতিকারক রেচক হল ইউরিক অ্যাসিড। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন তাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন পাওয়া যায় বেশ কিছু খাবার আর পানীয়তে। ড্রাই ফুড, মেটে, বিভিন্ন বাদাম, অ্যালকোহলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পিউরিন থাকে। ইউরিক অ্যাসিড রক্তের সঙ্গে মিশে কিডনিতে প্রবেশ করে এবং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এবার শরীরে যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় তাহলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গোড়ালি ফুলে যাওয়া, হাইপারইউরিসেমিয়া, গাউট, কিডনিতে পাথর এরকম একাধিক সমস্যা হতে পারে। অনেকক্ষেত্রে সরাসরি কিডনি ক্ষতিগ্রস্তও হয়। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হলে প্রথমেই প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমাতে বলা হয় রোজকারের ডায়েট থেকে। সেই সঙ্গে জল বেশি করে খেতে হবে যাতে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে কিনা জানতে হলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তিনি যে সব নিয়ম মেনে চলতে বলবেন সেই ভাবেই চলতে হবে। ডায়েটে আনুন পরিবর্তন। যদি কোনও ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন তাও খান। এছাড়াও হাতের সামনে রাখুন এই সব আর্য়ুবেদের টোটকা। এই ভাবে নিয়ম মেনে খেতে পারলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দিলেন বিশেষ পরামর্শ।

শুকনো আদা ও হলুদ

হলুদ আর আদা পাউডার থাকে সব বাড়ির রান্নাঘরেই। এই দুটি মশলা একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে ইউরিক অ্যাসিড থাকবে নিয়ন্ত্রণে। দিনে ২৫০mg করে খেতে পারেন এই মশলা। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে তখনই কিন্তু হলুদ আর আদা মিশিয়ে খাবেন।

গোখরু পাউডার

গাঁট বা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এই ভেষজ ভীষণ রকম উপকারী। এর মধ্যে থাকে হাইপারক্সালুরিয়া, যা কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও নিয়মিত এই পাউডার জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়।

পুনর্নভা পাউডার

জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এই পাউডার ভীষণ কার্যকরী। ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে শরীরে টরল এবং টক্সিন বেশি জমে। আর টক্সিন বেশি জমলেই গাঁট ফুলতে থাকে। এক্ষেত্রে খুবব ভাল কাজ করে পুনর্নভা। দিনে এক গ্রাম করে এই পাউডার খেতে পারলে শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বের হয়ে যায়। প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়। এতে শরীরও ভাল থাকে।

ত্রিফলা পাউডার

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল কাজ করে ত্রিফলা। যে কোনও রকমের সংক্রমণ, ব্যথা, বেদনা, জ্বালা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই ত্রিফলার। গাউট প্রতিরোধেও খুব ভাল কাজ করে। পেট পরিষ্কার রাখে, ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সব থেকে ভাল রোজ ত্রিফলা গুঁড়ো করে যদি ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

গিলয় জুস

কোভিড কাল থেকেই নামডাক হয়েছে গিলয়ের। আর্য়ুবেদে বহু বছর ধরেই ব্যবহার করা হচ্ছে এই গিলয়। রোজ নিয়ম করে গিলয়ের জুস খেতে পারলে জয়েন্টের ব্যথা কমে। সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। আজকাল বাজারে গিলয়ের সাপ্লিমেন্টও পাওয়া যায়। সবথেকে ভাল যদি এই পাতার রস করে খাওয়া যায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article