Dry Fruits: আখরোট থেকে খেজুর—ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার সঠিক উপায় জানেন? রইল আয়ুর্বেদিক টিপস
Ayurvedic Tips: আয়ুর্বেদের মতে, বাদাম-বীজ জলে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। তবে, সীমিত পরিমাণে বাদাম, শুকনো ফল খাওয়া উচিত। অন্যথায় বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। কোন বাদাম ও শুকনো ফল কখন খাওয়া উচিত, রইল আয়ুর্বেদিক টিপস।

স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গেলে প্রতিদিনের তালিকায় বাদাম, শুকনো ফল, বীজ রাখা দরকার। ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হয় আমন্ড, আখরোট, কাজুর মতো বাদাম, শুকনো ফল। পুষ্টির ঘাটতি দূর করা ছাড়াও এসব বাদাম ও বীজ আপনার পেটকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভর্তি রাখতে পারে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের খাওয়ার প্রতি লালসা কমাতে পারে। আয়ুর্বেদও এসব বীজ, বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু একটু অন্যভাবে। আয়ুর্বেদের মতে, এসব বাদাম-বীজ জলে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। তবে, সীমিত পরিমাণে বাদাম, শুকনো ফল খাওয়া উচিত। কখনওই মুঠো-মুঠো বাদাম বা শুকনো ফল খাবেন না। রোজের ডায়েটে ৫-৬টি বাদাম ও শুকনো ফল রাখুন। অন্যথায় বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। কোন বাদাম ও শুকনো ফল কখন খাওয়া উচিত, রইল আয়ুর্বেদিক টিপস।
কাজু: আয়ুর্বেদের মতে, ভাতাকে (vata) ভাল রাখতে গেলে কাজু খাওয়া দরকার। এই বাদাম আপনার ভাতার ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। পিত্তার (pitta) সমস্যা থাকলে বেশি পরিমাণে কাজু খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। যাঁদের কাফার (kapha) সমস্যা রয়েছে তাঁদের মধ্যে কাজু কফ বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এটি পরিমিত খাওয়া দরকার।
আমন্ড: আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটার খোসা ছাড়িয়ে খান। এটি ভাতা ও পিত্তার ক্ষেত্রে ভেজানো আমন্ড দারুণ উপযোগী। কিন্তু কাফার সমস্যায় সীমিত পরিমাণে আমন্ড খাওয়া ভাল।
আখরোট: ভাতার সমস্যা থাকলে খুব বেশি আখরোট খাবেন না। অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও আখরোটের প্রকৃতি গরম তাই এটি পিত্তার সমস্যাতেও সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। কাফাতেও বেশি পরিমাণে আখরোট খাওয়া উচিত নয়। কারণ আখরোট ভারী ও তৈলাক্ত হয়।
শুকনো ডুমুর: ভাতা প্রধান ব্যক্তিদের বাতের সমস্যায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে শুকনো ডুমুর। তবে, আপনার যদি পিত্তার সমস্যা থাকে তাহলে এটি সীমিত পরিমাণে খান। কারণ শুকনো ডুমুর গরম প্রকৃতির। তাছাড়া শুকনো ডুমুর মিষ্টি স্বাদের ও ভারী হয়, তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কাফার সমস্যা বাড়তে পারে।
খেজুর: ভাত্তায় খেজুর দারুণ উপকারী। এই শুকনো ফলের মধ্যে থাকা এক প্রকার রেচক ভাত্তার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পিত্ত প্রধান ব্যক্তিদের সীমিত পরিমাণে খেজুর খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। একই জিনিস ঘটতে পারে কাফা প্রধান ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও।
