Diabetes: ডায়াবিটিসের সঙ্গে সমঝোতা করতে চান! পড়ে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 05, 2022 | 5:16 PM

ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর তাই সকলকেই কিন্তু প্রথম থেকে এই রোগের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবিটিসের প্রকোপ। এখন থেকেই জীবনযাত্রায় লাগাম টানতে না পারলে কিন্তু বিপদ

Follow Us

নিঃশব্দ ঘাতকের মতই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকখানি। ডায়াবিটিসের এখন আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। ২৫ বছর থেকেই এখন অনেকে ডায়াবিটিসের শিকার। রক্তে যখন গ্লুকোজের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায় তখনই সেই অবস্থাকে ডায়াবিটিস বলা হয়। ডায়াবিটিসের নানা কারণ থাকে। কেউ জিনগত ভাবেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন আবার টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য কিন্তু মূলত আমাদের জীবনযাত্রা দায়ী। ডায়াবিটিসে কিডনি, হার্ট এবং চোখের উপর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি ফেলিওয়ের মতো ঘটনাও দেখা গিয়েছে। ডায়াবিটিস সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করা যায় না। কিন্তু নিয়ম মেনে চললে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোনও রকম অসুবিধে হয় না। টাইপ ১ ডায়াবিটিসে যাঁরা আক্রান্ত হন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক জটিল থাকে। অনেককেই ছোট বয়স থেকে ইনসুলিন নিতে হয়।

সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই বিষয়টি নিয়ে বিষদে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানেই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ বিজয় ঠক্কর জানান, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই সঙ্গে কিন্তু শরীরচর্চাও করতে হবে। শরীরচর্চা ছাড়া কোনও গতি নেই। সেই সঙ্গে তিনি বলেন একমাত্র জীবনযাত্রায় পরিবর্তম আনতে পারলে তবেই কিন্তু ডায়াবিটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিপস দিয়েছেন-

যদি বাড়িতে কারোর সুগারের সমস্যা থাকে বা পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবিটিস থেকে থাকে তাহলে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। মিষ্টি, চিনি, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এসব প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলুন। চিনির পরিবর্তে গুড়, সুগার ফ্রি এসব ব্যবহার করুন।

এছাড়াও ভাত দিনে একবারের বেশি খাবেন না। সেই সঙ্গে যদি ব্রাউন রাইস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু ভাল। ব্রাউন রাইসের মধ্যে থাকে বেশি পরিমাণে ফাইবার। কার্বোহাইড্রেট একেবারেই থাকে না। সেই সঙ্গে পেটও অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে।

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এসব অবশ্যই খান। বিভিন্ন রকম ডালও রাখুন ডায়েটে। চর্বিযুক্ত মাংস বা রেড মিট একেবারেই খাবেন না। চিকেনের হাড়ের অংশ খান। এছাড়াও রোজ একবাটি করে ডাল, গোটা শস্যদানা এসব কিন্তু  অবশ্যই রাখবেন রোজকার ডায়েটে। রোজ একটা করে যে কোনও লেবু খান।

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিজের জীবনযাত্রাকে একটা রুটিনে বেঁধে ফেলতে হবে।  লোভে পড়ে যাতে অতিরিক্ত মিষ্টি না খাওয়া হয় সেদিকেও কিন্তু নজর রাখুন। ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেবেন না। এতে কিন্তু নিজেরই ক্ষতি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবাকেই বাদ দিন। চিপস, বার্গার, প্যাটিস এসব একেবারেই নয়। আটা দিয়ে পরোটা, কেক বানিয়ে খান। চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া অভ্যাস করুন। এমনকী তরকারিতেও গুড় ব্যবহার করুন। ময়দা আর চিনি জীবন থেকে বাদ দিতে পারলে আজীবন সুস্থ থাকবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

নিঃশব্দ ঘাতকের মতই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকখানি। ডায়াবিটিসের এখন আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। ২৫ বছর থেকেই এখন অনেকে ডায়াবিটিসের শিকার। রক্তে যখন গ্লুকোজের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায় তখনই সেই অবস্থাকে ডায়াবিটিস বলা হয়। ডায়াবিটিসের নানা কারণ থাকে। কেউ জিনগত ভাবেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন আবার টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য কিন্তু মূলত আমাদের জীবনযাত্রা দায়ী। ডায়াবিটিসে কিডনি, হার্ট এবং চোখের উপর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি ফেলিওয়ের মতো ঘটনাও দেখা গিয়েছে। ডায়াবিটিস সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করা যায় না। কিন্তু নিয়ম মেনে চললে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোনও রকম অসুবিধে হয় না। টাইপ ১ ডায়াবিটিসে যাঁরা আক্রান্ত হন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক জটিল থাকে। অনেককেই ছোট বয়স থেকে ইনসুলিন নিতে হয়।

সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই বিষয়টি নিয়ে বিষদে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানেই ফিটনেস বিশেষজ্ঞ বিজয় ঠক্কর জানান, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই সঙ্গে কিন্তু শরীরচর্চাও করতে হবে। শরীরচর্চা ছাড়া কোনও গতি নেই। সেই সঙ্গে তিনি বলেন একমাত্র জীবনযাত্রায় পরিবর্তম আনতে পারলে তবেই কিন্তু ডায়াবিটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিপস দিয়েছেন-

যদি বাড়িতে কারোর সুগারের সমস্যা থাকে বা পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবিটিস থেকে থাকে তাহলে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। মিষ্টি, চিনি, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এসব প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলুন। চিনির পরিবর্তে গুড়, সুগার ফ্রি এসব ব্যবহার করুন।

এছাড়াও ভাত দিনে একবারের বেশি খাবেন না। সেই সঙ্গে যদি ব্রাউন রাইস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু ভাল। ব্রাউন রাইসের মধ্যে থাকে বেশি পরিমাণে ফাইবার। কার্বোহাইড্রেট একেবারেই থাকে না। সেই সঙ্গে পেটও অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে।

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এসব অবশ্যই খান। বিভিন্ন রকম ডালও রাখুন ডায়েটে। চর্বিযুক্ত মাংস বা রেড মিট একেবারেই খাবেন না। চিকেনের হাড়ের অংশ খান। এছাড়াও রোজ একবাটি করে ডাল, গোটা শস্যদানা এসব কিন্তু  অবশ্যই রাখবেন রোজকার ডায়েটে। রোজ একটা করে যে কোনও লেবু খান।

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিজের জীবনযাত্রাকে একটা রুটিনে বেঁধে ফেলতে হবে।  লোভে পড়ে যাতে অতিরিক্ত মিষ্টি না খাওয়া হয় সেদিকেও কিন্তু নজর রাখুন। ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেবেন না। এতে কিন্তু নিজেরই ক্ষতি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবাকেই বাদ দিন। চিপস, বার্গার, প্যাটিস এসব একেবারেই নয়। আটা দিয়ে পরোটা, কেক বানিয়ে খান। চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া অভ্যাস করুন। এমনকী তরকারিতেও গুড় ব্যবহার করুন। ময়দা আর চিনি জীবন থেকে বাদ দিতে পারলে আজীবন সুস্থ থাকবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article