ওজন কমানোর যাত্রা শুরু করা খুব একটা সহজ হয় না। অনেক সংকল্প দরকার হয় এই পুরো যাত্রার শেষে পৌঁছনোর জন্য। যখন আপনি এই যাত্রার মধ্যে থাকবেন, তখন আপনাকে অতিরিক্ত কিলো কমানোর জন্য একটি বিশেষ ডায়েট প্ল্যান করতে হবে। এর সঙ্গে ওয়ার্কআউটও মেনে চলতে হবে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের কঠোর পরিশ্রম এবং অনুপ্রেরণার পরে, যদি ওজন না কমে তখন আপনার মধ্যে বেশ কিছুটা হতাশা তৈরি হয়। ওজন কমানো শুধু কম খাওয়া এবং বেশি ব্যায়াম করার ফল নয়। বিভিন্ন রকমের ক্র্যাশ ডায়েট, ওজন কমানোর প্রোডাক্ট এবং ইন্টারনেটে সেলিব্রিটিদের ওজন কমানোর বিভিন্ন রকমের পোস্ট এই ধরনের ওজন স্থায়ী থাকার কারণ হতে পারে।
ঠিক কোথায় ভুল হয়েছে?
অ্যাপোলো স্পেকট্রার ল্যাপারোস্কোপিক এবং ব্যারিয়াট্রিক সার্জন ডঃ অপর্ণা গোবিল ভাস্কর জানালেন কেন অনেক চেষ্টা সত্বেও আপনার ওজন কমছে না।
খুব কম ক্যালোরিযুক্ত ডায়েট অনুসরণ করা: ‘কম খান, বেশি ওজন কমান’, এটি একটি সাধারণ ধারণা যা বেশিরভাগ মানুষই মেনে চলেন। এই ধরনের অভ্যাস প্রাথমিকভাবে ভাল ফলাফল দেবে কিন্তু কিছু সময় পরে ওজন বাড়তে থাকবে। সেই জন্য সব সময় এমন ডায়েট মেনে চলতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় ক্যালোরির পরিমাণ সব সময় ঠিক থাকে।
হঠাৎ ডায়েট পরিত্যাগ করা: ডঃ ভাস্কর বলেছেন যে কম খেয়েও যদি ওজন না কমে তাহলে সেক্ষেত্রে সেটা আমাদের ডিমোটিভেশনের দিকে নিয়ে যায়। এই অবস্থায় আমরা হঠাৎ করে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেই আর সেজন্য ওজন বেড়ে যায়। এই পুষ্টির ঘাটতিগুলি অলসতার দিকে পরিচালিত করে।
পর্যাপ্ত ফাইবার এবং প্রোটিন গ্রহণ না করা: নিজের থেকে আমরা যদি ডায়েট মেনে চলি, সেক্ষেত্রে প্রায়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবারের অভাব হয়। খাবারের পরিমাণ কমানো হয় ঠিকই কিন্তু খাবারের মান বিবেচনা করা হয়ে ওঠে না। প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি যোগ করলে আমাদের ওজন কমানোর ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। কারণ, এই পুষ্টিগুলি হজম করার জন্য শরীরকে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি পোড়াতে হয়, সেক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়।
শুধু হেলথ প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করা: দ্রুত ওজন কমানোর জন্য, অনেকেই ওজন কমানোর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে থাকেন যা ওজন কমানোর জন্য বিক্রি করা হয়। এই ধরনের খাবারের পরিবর্তে ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি/ ডিটক্স চা খাওয়া কিংবা ফ্যাট বার্নার গ্রহণ করা বেশি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: একটা ভারসাম্যপূর্ণ মিলের জন্য আমাদের কোন কোন খাবার অবশ্যই খেতে হবে?