Pani Puri Side Effects: টাইফয়েডের কারণ হিসেবে ফুচকাকেই কাঠগড়ায় তুলছেন এই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jul 18, 2022 | 8:42 PM

Typhoid Symptoms: তেলঙ্গানাতেও এখন স্ট্রিড ফুডের উপর জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। বিক্রেতাদেরও দেওয়া হয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি

Pani Puri Side Effects: টাইফয়েডের কারণ হিসেবে ফুচকাকেই কাঠগড়ায় তুলছেন এই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা...
ভুলেও ফুচকা খাবেন না

Follow Us

বর্ষায় বাড়ে যে কোনও জলবাহিত রোগের প্রকোপ। আন্ত্রিক, আমাশয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েডের প্রকোপ। বর্ষার যে কোনও রোগই খুব কম সমের মধ্যে জটিল আকার ধারণ করে। এর মধ্যে অন্যতম হল টাইফয়েড। প্রাথমিক ভাবে টাইফয়েড ধরা পড়তে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। সম্প্রচি টাইফয়েড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তেলঙ্গানায়। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে, টাইফয়েডের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী করা হয়েছে জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড ফুচকাকেই। জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জি শ্রীনিবাস রাও টাইফয়েডকে ‘পানি পুরী’ রোগ বলেছেন। বর্ষায় এমনিতেই বাইরের খাবার, জল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তেলঙ্গানাতেও এখন স্ট্রিড ফুডের উপর জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। বিক্রেতাদেরও দেওয়া হয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার পরিবেশন করতে হবে। ব্যবহত পানীয় জল যাতে সবদিক থেকে নিরাপদ থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। জল খাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তেলঙ্গানাতে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৭৫২ জন। সঙ্গে বেড়েছে কলেরা, ডেঙ্গুর প্রকোপও।

কী ভাবে ছড়ায় টাইফয়েড?

টাঅইফয়েডের জন্য দায়ী হল সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেই জ্বর আসে। উন্নত দেশগুলিতে টাইফয়েড বিরল। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টাইফয়েড কিন্তু এখনও গুরুতর সমস্যা। শিশুরাই মূলত আক্রান্ত হয়। দূষিত জলের সঙ্গে টাইফয়েডের জীবানুযুক্ত মল যুক্ত হয়েই দূষণ ছড়ায়। এরপর তা জল আর খাবারের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় শরীরে। টাইফয়েড সাধারণত ৭-১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে তা ৩০ দিন পর্যন্তও স্থায়ী হয়।

টাইফয়েডের উপসর্গ

একটানা জ্বর
তীব্র পেটে ব্যথা
মাথাব্যথা
ডায়েরিয়া
কোষ্ঠকাঠিন্য
খিদেমন্দা
ক্লান্তি
রক্তবমি
ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
রক্তবমি

কী ভাবে এড়াবেন টাইফয়েড

পরিবারের সকলকেই যাবতীয় পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। খাবার আগে-পরে হাত ধুয়ে নিন। বাথরুম থেকে বেরিয়েও অবশ্যই হাত ধোবেন। বাইরে থেকে ফিরে আসার পর সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। হাঁচি, কাশির সময় মুখে রুমাল চাপা দিয়ে রাখুন। চেষ্টা করবেন হাত দিয়ে যতচা সম্ভব মুখ, নাক স্পর্শ না করতে।

রোজ বেশি পরিমাণে জল খান। সবথেকে ভাল যদি জল ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। বাইরে বেরোলে সব সময় সঙ্গে জল রাখুন। বাইরের জল যতটাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। অপরিষ্কার জল থেকেই কিন্তু ডায়েরিয়া বেশি হয়।

বাইরের খাবার একেবারেই বাদ দিন। বিশেষত ফুচকা। বৃষ্টিতে যে কোনও ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক খুব তাড়াতাড়ি বংশবিস্তার করে। সবথেকে ভাল যদি বাড়িতেই খাবার বানিয়ে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে ফ্রেশ সবজি, ফলও রাখতে হবে তালিকায়। মরশুমি ফল, বাদাম খান।

বর্ষায় বাড়ে মশার পরিমাণ। মশা থেকেই এই সময় ভয় সবচাইতে বেশি। তাই এই সময় ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে মশার ধূপ জ্বালুন, ব্যবহার করতে পারেন কোনও স্প্রে। চেষ্টা করবেন হাত-পা ঢাকা কোনও পোশাক পরতে। বাড়ির আশপাশে যাতে জল জমে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

Next Article