শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয় মিষ্টি তা সে যত প্রিয়ই হোক না কেন। মিষ্টি বেশি খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হয়। সুগার বাড়ে, প্রদাহজনিত অস্বস্তি বাড়ে, ওজন বাড়ে, দেখা দেয় কিডনির সমস্যাও। মোটকথা মিষ্টি শরীরের কোনও উপকারে লাগে না। বরং মিষ্টি শরীরে আমন্ত্রণ জানায় যাবতীয় জটিল রোগ-সমস্যাকে। তবে চিনির কিন্তু স্বাস্থ্যরক্ষায় বেশ কিছু ভূমিকা রয়েছে। চিনি আমাদের মস্তিষ্কের ওপিওড রিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। যার ফলে আমাদের ভাল অনুভূতি হয়। চিনি যদি একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখান থেকে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখা প্রয়োজন যে ফল, মধু আর দুধের মধ্যে যে শর্করা থাকে তার তুলনায় প্রক্রিয়াজাত শর্করা একেবারেই আলাদা। সুক্রোজ আমাদের শরীরে প্রয়োজন। প্রাকৃতিক সুক্রোজ থাকে আখের মধ্যে। যে কারণে আখের থেকে যে চিনি তৈরি হয় তা তুলনায় নিরাপদ ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে।
প্রক্রিয়াজাত যে কোনও শর্করার মধ্যেই মিষ্টির পাশাপাশি তেতোভাব থাকে। যে কোনও বেকড খাবার, সোডা, জ্যাম, সিরাপ চকোলেটের মধ্যে এই প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। যে কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক বেশি। চিনি খেলে শুধুই যে ওজন বাড়ে তা নয় সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেল, ট্রাইগ্লিসারাইড থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা হতে পারে।
হঠাৎ করে যদি চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন
হঠাৎ করে যদি সুগার বা প্রেশারের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে সেক্ষেত্রে শরীরের উপর যা প্রভাব পড়ে চিনি বন্ধ করে দিলেও কিন্তু এই একই সমস্যা হয়। ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মাথা ধরে থাকা, স্মৃতিভ্রম, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। সেই সঙ্গে মেজাজও ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হয়। কিছুক্ষেত্রে হরমোনের নানা সমস্যাও আসে।
চায়ে চিনি খাওয়া ববা নিয়মিত এক চামচ চিনি ছাড়া যাঁদের চলে না তাঁরা যদি হঠাৎ করে চিনি ছেড়ে দেন তাহলে ঘুমও আসে না। ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নির্গত হতে পারে না। শরীরে তখন একাধিক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর তাই এই বিষয়টির দিকেও নজর রাখুন। কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। তেমনই হঠাৎ করে চিনি একেবারে বন্ধ করে দিলেও শরীরে তার প্রভাব পড়ে।
এত কিছুর মধ্যে বেশ কিছু উপকারিতাও কিন্তু রয়েছে –
চিনি বেশি খেলে গায়ের রং চেপে যায়। তাই কম খেলে বা চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে রং পরিষ্কার হয়।
চিনি বেশি খেলে ব্রণর সমস্যা বাড়ে। খাওয়া বন্ধ করলেই ত্বক ভাল হবে। ব্রণর সমস্যাব মিটবে।
চিনি কম খেলে ওজন তো কমবেই। যে কারণে ডায়েট থেকে চিনি বাদ রাখার কথা বলা হয়।