রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট এন্ডোডন্টিক ট্রিটমেন্ট নামেও পরিচিত। দাঁচের ভেতরের অংশে যদি কোনও সংক্রমণ হয়, যদি মাড়ি ফুলে যায় তখনই কিন্তু রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্টের কথা বলেন দন্ত চিকিৎসকেরা। দাঁতের গোড়ায় থাকা রক্তনালী এবং স্নায়ুর মধ্যবর্তী অংশ সংক্রমণের জেরে স্ফীত হয়ে যায়। দাঁত বাঁচাতেই তখন রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্টের পরামর্শ দেওয়া হয়। দাঁত না তুলে ফেলে দাঁত বাঁচাতেই এই পন্থা নেওয়া হয়।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ এন্ডোডোনটিস্টের মতে, রুট ক্যানালের কয়েকদিন পর দাঁতে সংবেদনশীলতা, ফোলা ভাব এসব থাকে। অনেকের আবার ওষুধ থেকে প্রতিক্রিয়া হয়। এছাড়াও রুট ক্যানাল হওয়ার পর দুদিন দাঁতে ব্যথা থাকে। তবে এই ব্যথার সঙ্গে যদি আর কোনও সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
তবে রুট ক্যানাল যে সব সময় ঠিকমতো কাজ করে এমন কিন্তু নয়। অনেক সময় রুট ক্যানাল করলে তার পাশের দাঁতও নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই এই ব্যাপারটিও কিন্তু খেয়ালে রাখতে হবে। মনে রাখবেন রুট ক্যানাল করা দাঁত যদি ভবিষ্যতে কখনও তুলতে হয় তাহলে একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
রুট ক্যানাল করার সময় দুটো ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরপর পরও যদি মাড়িতে ফোলা ভাব থাকে, চোয়াল ব্যথা করে বা মুখ ফুলে যায় তাহলে বুঝতে হবে কোথাও একটা সমস্যা হয়েছে। রুট ক্যানাল ঠিক মতো হয়নি। কারণ এই রুট ক্যানাল সার্জারির পর ফোলা ভাব মোটেও স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কারণ এই রুটের মধ্যে কোনও ফাঁক থাকলে সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। রুট ক্যানাল করানো দাঁতে সংক্রমণ হলে খুবই কষ্ট হয়।
দাঁতে রুট ক্যানাল করানোর আগে অবশ্যই এক্স রে করে নেবেন। এছাড়াও চিকিৎসকের দেওয়া যাবতীয় ওষুধ নিয়ম মেনে খেতে হবে। ট্রিটমেন্ট চলাকালীন যাবতীয় নিয়ম মেনে চলুন। জোরে ব্রাশ করবেন না। শক্ত খাবার খাবেন না। গরম জলে নুন দিয়ে কুলি করুন অন্তত দিনের মধ্যে দু বার। রুট ক্যানাল করানোর পর অ্যালকোহল এড়িয়ে চলবেন। খাবেন না ঠান্ডা পানীয়ও। চিকিৎসক যে ভাবে বলবেন সেভাবেই কিন্তু চলতে হবে। জোর করে বা অযথা রপট ক্যানাল করাবেন না।