Chemotherapy : কেমোথেরাপি চলছে বা সদ্য এই থেরাপি শেষ হয়েছে? কেমন হবে আপনার ডায়েট

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 13, 2024 | 1:48 PM

Chemotherapy patients diet: কেমোথেরাপির পর ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুমেরামত করতে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে। যে কারণে একদম চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম, সয়ামিল্ক, উদ্ভিজ প্রোটিন এসব রাখতে হবে। এছাড়াও গুড ফ্যাট খান

Chemotherapy : কেমোথেরাপি চলছে বা সদ্য এই থেরাপি শেষ হয়েছে? কেমন হবে আপনার ডায়েট
কেমন হবে কেমোথেরাপির পরের ডায়েট

Follow Us

গত কয়েক বছরে বেড়েছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি পরিবার পিছু একজন ক্যানসার আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া এখন একেবারেই কঠিন ব্যাপার নয়। শরীরের যে কোনও অংশে ক্যানসার হতে পারে। ক্যানসার কোষগুলি যাতে দ্রুত শরীরে না ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগের প্রকোপ ঠেকিয়ে রাখতেই কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপির পর রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। কেমোথেরাপির পর শরীর দুর্বল হয়ে যায় এছাড়াও এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, খিদে কমে যাওয়া, খাবারের স্বাদ না পাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, মিউকোসাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। আর তাই খাবারর তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। জল বেশি করে খেতে হবে। সঙ্গে শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাবের জল, ফলের রস এসবও কিন্তু খেতে হবে। সাধারণত চিকিৎসকেরা বলেন কেমোথেরাপির পর ডাবের জল বা ফলের রস খেতে।

এছাড়াও আরও যা কিছু খেতে হবে-

কার্বোহাইড্রেট- কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। এই সময় শরীরে শক্তি কমে যায়, উঠে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতা যাতে থাকে তার জন্যই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। গোটা ফল, শস্য এসন অবশ্যই রাখতে হবে ডায়েটে। যাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা না আসে। এবং ডায়ারিয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও নিয়ম মেনে খেতে হবে

প্রোটিন- কেমোথেরাপির পর ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুমেরামত করতে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে। যে কারণে একদম চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম, সয়ামিল্ক, উদ্ভিজ প্রোটিন এসব রাখতে হবে। এছাড়াও গুড ফ্যাট খান। বাদাম, অ্যাভোগাডো, বিভিন্ন রকম বীজ এসব অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে

গ্যাস, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। রোজ ৩৮ গ্রাম করে ডায়েটারি ফাইবার যেন থাকে সেইদিকে নজর রাখতে হবে। বমি, ডায়েরিয়ার সমস্যা হলে তরল বেশি করে খেতে হবে। কিছু ক্যানসারের চিকিৎসায় লিভার, অন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। আর তাই প্রথম থেকেই জল বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে নুন চিনির জল, ফলের রস, ডাবের জল এসবও বেশি করে খান।

শরীর মেরামতের জন্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এবং জিঙ্ক, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় আর কোষ মেরামতিতেও তা সাহায্য করে। তবে কেমোথেরাপির পর নিজেকে সাবধানে থাকতে হবে।

কেমোথেরাপির পর শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যায়। তাই কাঁচা খাবার, হাফ সেদ্ধ ডিম, কাঁচা সবজি, না ধোওয়া ফল এসব খাওয়া যাবে না। দুধের পরিবর্তে ঘোল, ছানা এসব খেলে ভাল। ফল, শাকসবজি খুব ভাল করে ধুয়ে নিয়ে তবেই খাবেন। নিরাপদ তাপমাত্রায় খাবার রান্না করতে হবে। কাটিং বোর্ড যাতে পরিষ্কার থাকে সেই দিকেও নজর দিতে হবে।

Next Article