
ঋতুর রানি হল বর্ষা। যদিও জল-প্যাচপ্যাচে কাদায় বিরক্ত লাগে তবুও কিন্তু উপভোগ করার ঋতু হল এই বর্ষা। যে কারণে বর্ষা অনেকের কাছেই বিশেষ পছন্দের। এই বর্ষাকে নিয়ে কত সাহিত্য, উপন্যাস রচিত হয়েছে। তবে বর্ষা তখনই উপভোগ্য যখন আপনি নিজে থাকছেন সুরক্ষিত। এছাড়াও বর্ষায় বাড়ে রোগ-ভোগের প্রকোপ। যে কোনও সংক্রমণ জনিত সমস্যা জাঁকিয়ে বসে এই সময়েই। সঙ্গে বাড়ে হাঁপানি শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। আর তাই এই সময়টায় একটু সাবধানে থাকতেই হবে সকলকে।

এমন অনেকেই আছেন যাঁদের সামান্য ঠান্ডা লাগলেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে প্রায়সময়ই ইনহ্লারের ভরসায় থাকতে হয়। অ্যাজমার সমস্যা হলে প্রথমেই শ্বাসনালীর আশপাশের পেশি শক্ত হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় ব্রঙ্কোস্পাজম।

বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু, টাইফয়েড, কলেরা, হেপাটাইটিসের প্রভাব বাড়ে। কারণ এই আর্দ্র আবহাওয়া। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।

বৃষ্টির সঙ্গে ফুলের অনেক পরাগ বয়ে আনে। এই পরাগ রেণুও হাঁপানির অন্যতম কারণ। এছাড়াও বর্ষাকালে সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না। ভিটামিন-ডি এর অভাব থেকেও হাঁপানির সমস্যা হয়।

বর্ষাকালে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। যে কারণে হাঁপানি, অ্যালার্জির মত সমস্যাও বাড়ে। আর বর্ষার মত স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় যে কোনও ফ্লু, সংক্রমণ অনেক তাড়াতাড়ি ছড়ায়। ছত্রাকের আক্রমণ বাড়ে।

তাই চেষ্টা করুন, বর্ষায় সব সময় গরম জল খেতে। গরম স্যুপ, আদা-মধু দিয়ে চা এসব বারে বারে খান। জলের মধ্যে এক চামচ জিরে ফেলে ফুটিয়ে খান। এতেও নানা সমস্যা দূর হয়। বাড়িতে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। অন্য়ান্য ওয়ার্ক আউটের মধ্যে ট্রেডমিলে জোর দিন সবচাইতে বেশি।