বুকে চাপ অনুভব, মাথা ঝিমঝিম ও সহজেই ক্লান্তির মতো সমস্যাগুলি দেখে দিলেই বুঝবেন আপনার হার্টের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাম হলে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ দেখা দিয়েছে। চিকিত্সকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের সাধারণত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিট পর্যন্ত হার্ট চলাচল করে। মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চললে হৃত্পিণ্ডও দ্রুত প্রসারিত হয়। আমরা যখন দৌড় দিই, তখন হার্টের রেট বেড়ে যায়। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় যখন মানুষের শ্বাসকষ্ট হয়, হার্টের রেট কমতে থাকে, তখন হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য স্বাভাবিক বিশ্রামের কারণে হার্টের রেট থাকা উচিত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ মাত্রা। আমেরিকার মায়ো ক্লিনিকের গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে হার্ট রেট বা পালস রেট ৪০-এর কম হতে পারে। এই মাত্রায় হার্ট রেট থাকলে তাকে সুস্থ হৃত্পিণ্ড বলে ব্যাখ্যা করে হয়ে থাকে। ডাক্তারির ভাষায় তাকে কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বলে। কিন্তু হার্ট রেটের হেরফের কবলেই বুঝবেন আপনার হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
হাভার্ড মেডিক্যাল স্কুল থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হার্টের বিশ্রামের হার (resting heart rate (RHR) ৬০-১০০ এর বেশি হয়ে গেলেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। ২০১৩ সালের একটি জার্নালে বলা হয়েছে, ১৬ বছরে প্রায় ৩হাজার মানুষ কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শারীরিক দক্ষতা, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, এইসব কারণে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
সাদারণত আরএইচআরের হার ৮০ থেকে ৯০ এর দ্বিগুণ হলেই মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। তবে, কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরু হলে সতর্ক থাকুন। শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস কমে এলে প্রয়োজন হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, কোলেস্টোরলের মাত্রা বেশি থাকলে, অতিরিক্ত ওজন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ এবং শারীরিক পরিশ্রম না করা হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ।