খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে যতদিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) সমস্যা। কোলেস্টেরলের সমস্যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়ায়। যার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবুও এই বিষয়ে বাড়েছে না সচেতনতা। আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) ও খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)। ভাল কোলেস্টেরল কোষের মেমব্রন গঠনে সাহায্য করে। অন্যদিকে এলডিএল নামক খারাপ কোলেস্টেরল শরীরে জমতে শুরু করলেই বাড়ে বিপদ। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বাজার চলতি অনেক ওষুধ রয়েছে। তবে হাভার্ড হেল্থের মতে স্ট্যাটিনই (Statin) হল এই সমস্যার সবচেয়ে ভাল সমাধান।
এই স্ট্যাটিন নামক ওষুধটি শরীরে এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় আমাদের ধমনী শক্ত হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলে। ধমনীকে নমনীয় করার মাধ্যমে স্ট্যাটিন এই রোগ দূর করে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গেই এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। অনেকদিন ধরে এই ওষুধ খেয়েও ফল পাওয়া না গেলে চিকিৎসকরা অনেক সময় স্ট্যাটিনের সঙ্গে ইজিটিমাইব নামক ওষুধ যুক্ত করেন। এই ওষুধ শরীরে কোলেস্টেরল শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শরীরে এলডিএলের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে PCSK9 নামক থেরাপির সাহায্য নেন চিকিৎসকরা।
দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণকারী এই থেরাপির মাধ্যমে শরীর থেকে বদ কোলেস্টেরলকে বেড় করে দেওয়া হয়। করোনারি আর্টারি ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত রোগীরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ট্যাটিনের মতো ওষুধ খেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই PCSK9 থেরাপি বেশ উপকারি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই থেরাপি যথেষ্ট ব্যয়বহুল। স্ট্যাটিনের মতো ট্যাবলেট আকারে এটি পাওয়া যায় না। এটিকে শরীরের মধ্যে ইনজেক্ট করে দেওয়া হয়। কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে এই সব ওষুধপত্রের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় রাশ টানতে হবে। নইলে হতে পারে বিপদ। কোলেস্টেরল কমাতে বেশী পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিনযুক্ত সবজি বেশী করে খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজ বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে। তাই নিয়মিত পাতে এক টুকরো পেঁয়াজ রাখুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।