টাইপ ২ ডায়াবিটিসে (Type 2 Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যা ইদানিং কালে বেড়েছে অনেকটাই। এর জন্য যে দায়ী আমাদের লাইফস্টাইল (Lifestyle), আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা একথা কিন্তু বারবার বলেছেন চিকিৎসকেরা। ঘুম কম, অতিরিক্ত চিন্তা এসব থেকেও কিন্তু আসে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা। তবে যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁদের প্রত্যেকরই কিন্তু ঘুমে সমস্যা (Sleep Problem) হয়। টানা ঘুম না হওয়া, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া এসব লেগেই থাকে। আর এই অনিয়মিত ঘুম নির্ভর করে আপনি হাইপারগ্লাইসেমিয়া নাকি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছেন তার উপরে। অনিয়মিত ঘুম হলে শরীরে ক্লান্তি লেগেই থাকে।
ডায়াবিটিস বা অন্য কোনোও শারীরিক সমস্যায় ঘুম কম হয়। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ বাড়ে। যেখান থেকে কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। আর তাই প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন থাকুন। কারণ ডায়াবিটিসে মনের মধ্যে উদ্বেগ লেগেই থাকে। উদ্বেগ বাড়লো হাইপারগ্লাইসেমিয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এর ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং যেখান থেকে বার বার বাথরুমে যাওয়ার মত সমস্যা লেগেই থাকে। রাতে একাধিকবার বাথরুমে যেতে হয়। সঙ্গে বার বার জল পিপাসা পাওয়া, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এসব লেগেই থাকে। এই শারীরিক অসুবিধার কোনও একটি থাকলে কিন্তু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য। আবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে তখনও কিন্তু ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। বার বার ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুম ঠিকমতো না হলে তখন কিন্তু সরাসরি প্রভাব পড়ে ইনসুলিন ক্ষরণে। ইনসুলিন ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। যেখান থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। এছাড়াও অনিয়মিত ডায়েট মেনে চললে সেখান থেকেও কিন্তু রক্তে চিনির মাত্রা বাড়তে পারে। আর অনিয়মিত ঘুম হলে তখন ঘ্রেলিনের মাত্রাও বেড়ে যায়। যা আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে লেপটিনের পরিমাণও হ্রাস পায়। এই লেপটিন কিন্তু আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। এবার খিদে যদি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলেই বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয়ে যায়। সেকান থেকে বাড়ে ওবেসিটির ঝুঁকি। আর োবেসিটি বাড়লে কিন্তু সেখান থেকে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সমস্যা আসবেই।
আর তাই প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত ওজন যেন না বাড়ে। ওজন বাড়লেই কিন্তু সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়। আসতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়ার মত সমস্যাও।
স্নায়ুর নানা সমস্যা আসতে পারে। হাত অসাড় হয়ে যাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা এসব লেগেই থাকে। আর এই ব্যথা থেকে কিন্তু ঘুমেও সমস্যা হয়।
আর টাইপ ২ ডায়াবিটিসে শরীরে একটা ক্লান্তি থাকেই। আর তাই কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। নইলে আরও একাধিক সমস্যা আসবে। শরীরের আভ্যন্তরীন ক্ষতি হতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।