আজকের জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। ফোন ছাড়া দিন কাটে না। পাশে না থাকলেই মনে হয় জীবনে কিছু একটা যেন মিসিং। ফোনেই শপিং, ফোনেই মিটিং। ফোন ছাড়া আজকাল বিল মেটানোটাও বেশ চ্যালেঞ্জিং। পকেটে আর কিছু থাকুক বা নাই থাকুক, ওয়ালেট না থাকলেও চলবে। কিন্তু একটা ফোন থাকতেই হবে। কয়েক বছর আগেও বেশ কিছু মানুষের অভ্যাস ছিল বাথরুমে বসে সংবাদপত্র পড়া। অর্থাৎ পেট খালি করতে করতেই তাঁরা খবর গিলতেন। পুরো পেপারে চোখ বুলিয়ে তবেই উঠতেন। সেই অভ্যাস এখন আমূল বদলে গিয়েছে। আজকাল সকালে উঠে পোনের নোটিফিকেশন না দেখলে মানুষের দিন শুরু হয় না। আর তাই বাঠরুমে গেলেও বগলদাবা করে নিয়ে যান নিজের মোবাইল ফোনটিকে। আর প্রথমেই চোখ রাখা চায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সারাদিনের খবরা-খবর হোয়্যাটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করার পর তবেই মন দেন অন্য কাজে। তবে জানেন কি, এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়? এতে শুধু নিজের নয়, পরিবারেরও স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থেকে যায়।
মোবাইল ছাড়া আমাদের দিন কাটে না নিঃসন্দেহে। যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ সারতে ভরসা মোবাইলই। তবে এই মোবাইল নিয়ে বাথরুমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। বাথরুমে ফোন নিয়ে গেলে সেখান থেকে হতে পারে একাধিক অসুবিধে।
বাথরুম নিজের মতো করে সময় কাটানোর জায়গা অনেকের কাছেই। একই সঙ্গে প্রয়োজনের। ঠিক যেমন খাবার খাওয়ার সময় মোবাইলে বা টিভিতে চোখ রাখা ঠিক নয় তেমনই মলত্যাগের সময়ও মোবাইল ঘাঁটা ঠিক নয়। এতে পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মলত্যাগে অসুবিধে হয়। প্রায়শই গ্যাস হয়ে যায়। আর তাই আগে থেকে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের সমস্যা আগের তুলনায় এখন অনেক বেড়েছে আর এক্ষেত্রে বাথরুমে ফোন নিয়ে ঢুকলে সেই সম্ভাবনা আরও অনেকটা বেড়ে যায়। কারণ ফোনের মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। ইউটিআই একবার হলে তা সারাতে খুব সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যাও আসতে পারে।
বাথরুমে মোবাইল নিয়ে গেলে সেখান থেকে একাধিক সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও বাথরুম মানে জীবাণুর আঁতুড় ঘর। সেখানে ফোন নিয়ে ঢুকলে তারপর সেই ফোন ঘরে নিয়ে সোফা, বিছানায় রাখলে আরও সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় ডায়ারিয়ার সম্ভাবনাও। কারণ ফোনের মাধ্যমেই হাতে, পেটে সহজে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। আর তাই আজ থেকেই সাবধান থাকুন। ফোন নিয়ে বাথরুমে একেবারেই যাবেন না।