পুরুষদের তুলনায় মহিলারা যে লং কোভিডের সমস্যায় বেশি ভুগছেন তা আগেই প্রমাণিত। সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফে একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই গবেষকরা জানিয়েছেন কোভিডে আক্রান্ত এরতম প্রায় ১১ লক্ষ মহিলার উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। আর সেই সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর দেখা গিয়েছে মহিলাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে লং-কোভিডের উপসর্গ। ছেলেদের এবং মেয়েদের উপসর্গও পৃথক। মেয়েরা নাক, কান, গলার সমস্যা, হজমের সমস্যা, ডিপ্রেশন এবং কম বয়স থেকেই মেয়েদের শরীরে জাঁকিয়ে বসছে বাতের ব্যথা। এছাড়াও প্রচুর মহিলা ভুগছেন হরমোনের একাধিক সমস্যায়। যার প্রধান লক্ষণ হিসেবে উঠে আসছে মুড স্যুইং। হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে ফেলা বা ডিপ্রেশন-এমন সমস্যায় ভুগছেন প্রচুর মহিলা।
মহিলাদের ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমনটা য়েছেও। এছাড়াও যে সব মহিলারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরিক অবস্থাও খুব দ্রুত জটিল আকার ধারণ করেছে। ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যদিও এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। কোভিডের এই তিন তরঙ্গেই যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সকলের মধ্যেই দেখা গিয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কারোর ক্ষেত্রে সংক্রমণ হালকা কারোর ক্ষেত্রে গুরুতর- কিন্তু মিল একটাই। সেরে ওঠার পর সবার মধ্যেই দেখা গিয়েছে লং কোভিডের সমস্যা। চুল পড়া থেকে স্মৃতিভ্রম লং কোভিডের সমস্যায় একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে বেড়েছে বিরক্তিও। অল্পেই রেগে যাওয়া, মাথা গরম করা, এসব কিন্তু লং কোভিডেরই লক্ষণ।
কোভি়ডে সংক্রমণের সমস্যা যেমন মেয়েদের মধ্যে বেশি তেমনই কিন্তু মৃত্যুহারও কম। লং কোভিডের সমস্যায় ভুগছেন এমন পুরুষের সংখ্যা যেখানে ৮৪ শতাংশ সেখানে মহিলাদের সংখ্যা ৯৭ শতাংশ। শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, বুকের ঠিক মাঝখানে ব্যথা, হৃদস্পন্দন বেশি, ঘুমের ব্যাঘাত এই সব সমস্যা মেয়েদের মধ্যে অনেক বেশি ছিল। তবে পেশির ব্যথা কিংবা মারাত্মক কাশির কোনও অভিযোগ ছিল না। তবে যত সংখ্যক মহিলা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সকলেরই কিন্তু ঘুম কমে গিয়েছে। কোভিড থেকে সেরে ওঠার ৬ মাস পরও সেই অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। ছেলেদের মধ্যে এই সমস্যা না থাকলেও ওজন কমে যাওয়ার মত ঘটনা ছিল অনেকটাই বেশি। এছাড়াও যে সব মহিলাদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনির সমস্যা রয়েছ্ে তাঁদের মধ্যে কিন্তু জীবন-ঝুঁকি বেশি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।