চিকিত্সকদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীকে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার মূল অস্ত্র। তাই কোন কোন খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিসদের জন্য উপযুক্ত তা জানা অত্যন্ত দরকার। শুধু তাই নয় কোন খাবারে কোনটা পুষ্টি রয়েছে, শরীরের জন্য উপযুক্ত কিনা, রক্তে সুগারের পরিমাণ কতটা, সেদিকগুলি মাথায় রেখে দৈনন্দিন ডায়েট মেনে চলা দরকার।
অনেকের বিশ্বাস যে প্রতিদিন ভেজানো আখরোট খাওয়া টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আখরোট ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের ডায়েটে আখরোট থাকা ভাল। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ এই ফাইবারের মাধ্যমে নির্গত হয়ে যায়। তবে সুগার আপনার কত পরিমাণে রয়েছে, সেই হিসেবে আখরোট খাওয়া সঠিক হবে। কারণ এই আখরোটের কারণে হঠাত করে সুগারের পরিমাণ নেমে গেলে জটিলতা আরও বাড়বে, কমবে না। টিফিন টাইমে অর্থাত্ দুপুরের খাওয়ার আগে একটি ছোট্ট টিফিনের সময়, কিংবা ব্রেকফাস্টের সময় আখরোট খেতে পারেন।
প্রসহ্গত, বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে আখরোট ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন হরমোনে মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে. ব্লাড সুগারের লেভে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আখরোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ…
ভেজানো আখরোট খাওয়া শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বেই প্রচলিত। হজমশক্তি বাড়াতে ভেজানো আখরোট অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আখরোটে রয়েছে প্রাকৃতিক তেল, যা ত্বক ও চুলের জন্যও বেশ উপকারী। অনেক গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ভেজানো আখরোট খেলে ক্যানসারেরও ঝুঁকিও কমানো সম্ভব হয়।