কিডনিতে পাথর হলে আর জ্বালা যন্ত্রণার শেষ থাকে না। জীবনে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। সব চেয়ে সমস্যার হল যখন তখন অসহ্য যন্ত্রণা। একবার ব্যথা শুরু হলে অনেক সময়, ওষুধেও কমতে চায় না সেই ব্যথা। তখন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর গতি নেই। তবে অস্ত্রোপচার করে পাথর বার করে দিলেই যদি নিশ্চিন্ত, এমনটা নয়। কারণ কিডনিতে পাথরের সব থেকে বড় মুশকিল হল, যাঁদের পাথর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের একবার নয় বার বার পাথর হতে পারে। অনিয়মিত খদ্যাভ্যাস এবং সর্বোপরি জল কম খাওয়া হল এই রোগের মূল। তাই এক বার এই সমস্যা দেখা দিলে নিজেকে ঠিক রাখতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলাই শ্রেয়। বেশি করে জল খাওয়া, সময় মতো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমন কিছু খাবার দাবার আছে, যা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
১। কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দিলে টমেটো, শসা, পালং শাক, বেগুন বা কচু জাতীয় সবজি খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভাল।
২। পালং শাকে থাকে অক্সালেট নামক উপাদান, যা কিডনি পাথরের রোগীদের জন্য বিষ। বেগুনেও এই উপাদান থাকে। এটি পাথরের আকার বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩। কিডনিতে পাথর থাকলে যদি কেউ অতিরিক্ত শসা খান তাহলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অথবা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
৪। বীজ যুক্ত সবজি বেশি খেলে পাথরের আকার বেড়ে যেতে পারে। তাই সেই ধরনের সবজি কম খাওয়াই ভাল।
৫। শরীরে বেশি ক্যালশিয়াম গেলে পাথরের রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ক্যালশিয়াম জাতীয় খাবার কম খাওয়া ভাল।