শীত পড়া থেকে সন্তান সর্দি-কাশিতে ভুগছে? খুদকে স্নান করানোয় কোনও ভুল হচ্ছে না তো!

megha |

Feb 13, 2024 | 4:56 PM

Child Health Care Tips: সদ্য স্কুল যেতে শেখা বাচ্চাদের মধ্যে ঘন ঘন সর্দি-কাশির সমস্যা খুব কমন। এ নিয়ে বাবা-মায়েদের ভয় পাওয়া কিছু নেই। কিন্তু আপনার সন্তান যদি সারাবছর ধরে সর্দি-কাশিতে ভোগে, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার। ছোটদের ইমিউনিটি দুর্বল হয়। তাই চট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় বেশি থাকে। তাই আপনাকে বাচ্চার স্নানের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

শীত পড়া থেকে সন্তান সর্দি-কাশিতে ভুগছে? খুদকে স্নান করানোয় কোনও ভুল হচ্ছে না তো!

Follow Us

শীত শুরু ও বিদায়ের মুখে ঠান্ডা লাগার সমস্যা খুব সাধারণ। বিশেষত, ঋতু পরিবর্তনের মুখে ছোটরা সবচেয়ে বেশি জ্বর-সর্দিতে ভোগে। তাছাড়া সদ্য স্কুল যেতে শেখা বাচ্চাদের মধ্যে ঘন ঘন সর্দি-কাশির সমস্যা খুব কমন। এ নিয়ে বাবা-মায়েদের ভয় পাওয়া কিছু নেই। কিন্তু আপনার সন্তান যদি সারাবছর ধরে সর্দি-কাশিতে ভোগে, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার। ছোটদের ইমিউনিটি দুর্বল হয়। তাই চট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় বেশি থাকে। তাই আপনাকে বাচ্চার স্নানের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুল সময়ে এবং ভুল পদ্ধতি স্নান করানো বাচ্চাকে ঘন ঘন অসুস্থ করে তোলে। তাই কোন নিয়ম মেনে সন্তানকে স্নান করাবেন, জেনে নিন।

১) বাচ্চারা খেলাধুলো বেশি করে। তাই ধুলোবালির সংস্পর্শেও তারা বেশি আসে। বাচ্চার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর রাখা দরকার। এখন যেহেতু শীতের আমেজ রয়েছে, তাই সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন স্নান করান। প্রয়োজনে আপনি রোজই স্নান করাতে পারেন।

২) স্নানের জলের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন। স্নানের জলের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করান। অর্থাৎ, খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জল চলবে না। এতে দেহের তাপমাত্রা বজায় থাকবে এবং সর্দি-কাশির হাত থেকেও খুদে মুক্তি পাবে।

৩) শিশুদের প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। সবসময় মাইল্ড এবং গন্ধহীন সাবান ও শ্যাম্পু বেছে নিন শিশুদের জন্য। ক্ষারযুক্ত পণ্য আপনার সন্তানের ত্বককে সংবেদনশীল করতে তুলতে পারে। প্রয়োজনে আপনি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ও বাবল বাথ ব্যবহার করতে পারেন।

৪) স্নানের পর গা মোছানোর ক্ষেত্রেও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। খেয়াল রাখুন, বাচ্চার গায়ে কোনও রকম জল না থাকা চলবে না। বিশেষত, হাত ও পা ভাল করে মুছিয়ে দিন। আর নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।

৫) আপনার সন্তান যদি ইতিমধ্যেই জ্বরে ভোগে, তাহলে হাইড্রেশনের উপর জোর দিন। স্নান করানোর পর অবশ্যই বাচ্চাকে জল বা ফলের রস খাওয়ার। এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।

Next Article