Chandipura virus: প্রতি ৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা যাচ্ছেন ১ জন, কোভিডের পর ভয় ধরাচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস

Chandipura virus: যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাতের বাসিন্দা। তবে বাংলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও ঘটনা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু, রোগ ছড়িয়ে পড়তে যেহেতু দেরি হয় না, তাই আমাদেরও সতর্ক থাকতেই হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Chandipura virus: প্রতি ৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা যাচ্ছেন ১ জন, কোভিডের পর ভয় ধরাচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2024 | 11:07 PM

কলকাতা: কোভিড গিয়েছে। কিন্তু ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়ারা আমাদের সঙ্গেই আছে। এবার নতুন এক অবতারের উদয় হয়েছে। সে আগেও ছিল। তবে, এইবার তার চোখরাঙানি আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। নাম চাঁদিপুরা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু বলছে, গত ২০ বছরে ভারতে কখনও এই ভাইরাসের এত বেশি সংক্রমণ হয়নি। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায়। ভারতে এ বছর এখনও পর্যন্ত তা ৩৩ শতাংশ। মানে প্রতি ৩ জন আক্রান্তের মধ্যে ১ জন মারা যাচ্ছেন। এতেই মাথায় হাত আম-আদমির। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষার সময় মশা-মাছি থেকে চাঁদিপুরা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। তবে মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ ছড়ায় না। রোগের লক্ষণগুলিকে মূলত বলা হয় Acute Encephalitis Syndrome. যার মধ্যে রয়েছে আচমকা জ্বর, বমি, রোগীর আচ্ছন্ন হয়ে পড়া। এমনকী সাধারণ বোধ-বুদ্ধিরও ঘাটতি দেখা যায়। জুন মাসের গোড়া থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে acute encephalitis syndrome-এর ২৪৫টা কেস জমা পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে ৮২ জন, মানে ৩৩ শতাংশ রোগী মারা গেছেন। পরীক্ষার পর আক্রান্তদের মধ্যে ৬৪ জনের শরীরে চাঁদিপুরা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তাতেই মাথায় হাত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। 

যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাতের বাসিন্দা। তবে বাংলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও ঘটনা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু, রোগ ছড়িয়ে পড়তে যেহেতু দেরি হয় না, তাই আমাদেরও সতর্ক থাকতেই হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় মুশকিল হল চাঁদিপুরা ভাইরাসের কোনও ওষুধ নেই। নেই কোনও ভ্যাকসিনও। রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী ডাক্তাররা চিকিত্‍সা করেন। অভিজ্ঞ চিকিত্‍সকরা বলছেন, মশা যাতে না কামড়ায় তা দেখতে হবে। মশা-মাছি যাতে কম থাকে সেজন্য বর্ষার সময় বাড়ি-এলাকা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আর পনেরো বছরের নিচে থাকা শিশু-কিশোরদের চাঁদিপুরা ভাইরাসে বিপদ সবচেয়ে বেশি। তাই তাদের যে সাবধানে রাখতে হবে তা বলাই বাহুল্য।