AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

লকডাউনের এক বছর পার, কেমন ছিল ভয়ের দিনগুলি?

২০১৯ সালের শেষভাগে চিনে প্রথম খোঁজ মেলে করোনা ভাইরাস(Coronavirus)। কিছুদিনের মধ্যেই মারণ রূপ ধারণ করে করোনা ভাইরাস। ধীরে ধীরে লকডাউন (Lockdown) শুরু হয় গোটা বিশ্ব জুড়ে।

| Updated on: Mar 24, 2021 | 8:51 PM
Share
২০১৯ সালের শেষভাগে চিনে প্রথম খোঁজ মেলে করোনা আক্রান্তের। কিছুদিনের মধ্যেই মারণ রূপ ধারণ করে করোনা ভাইরাস। কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বের বাকি দেশেও ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রতিবেশী দেশের ছোঁয়াচ এড়াতে চাইলেও ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ববিধি মানার মতো নানা স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ২৩ মার্চ জনতা কার্ফুর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে বিকেল পাঁচটার সময় সকল ভারতবাসীকে ঘণ্টা বা থালা বাজাতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ সালের শেষভাগে চিনে প্রথম খোঁজ মেলে করোনা আক্রান্তের। কিছুদিনের মধ্যেই মারণ রূপ ধারণ করে করোনা ভাইরাস। কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বের বাকি দেশেও ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রতিবেশী দেশের ছোঁয়াচ এড়াতে চাইলেও ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ববিধি মানার মতো নানা স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ২৩ মার্চ জনতা কার্ফুর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে বিকেল পাঁচটার সময় সকল ভারতবাসীকে ঘণ্টা বা থালা বাজাতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

1 / 11
২৪ মার্চ, ২০২০। সন্ধে সাতটার সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ২১ দিনের জন্য জারি করা হচ্ছে লকডাউন। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় সড়ক, রেল ও বিমান পরিষেবা। দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনের নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই খোলা থাকত অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান। যান চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় কেবল জরুরী পরিষেবায়।

২৪ মার্চ, ২০২০। সন্ধে সাতটার সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ২১ দিনের জন্য জারি করা হচ্ছে লকডাউন। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় সড়ক, রেল ও বিমান পরিষেবা। দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনের নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই খোলা থাকত অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান। যান চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় কেবল জরুরী পরিষেবায়।

2 / 11
তবে লকডাউনে কী কী নিয়ম রয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়। অনেকেই নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বের হন। শাস্তি হিসাবে কারোর কপালে জোটে পুলিশের লাঠির ঘা, কাউকে আবার রাস্তায় কান ধরে উঠবোস করানো হয়।

তবে লকডাউনে কী কী নিয়ম রয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়। অনেকেই নিয়ম ভেঙে রাস্তায় বের হন। শাস্তি হিসাবে কারোর কপালে জোটে পুলিশের লাঠির ঘা, কাউকে আবার রাস্তায় কান ধরে উঠবোস করানো হয়।

3 / 11
প্রথম দফার লকডাউনে সংক্রমণ কমার বদলে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে অবধি ফের দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি করা হয়। তৃতীয় দফায় ৪ মে থেকে ও চতুর্থ দফায় ১৮ মে থেকে ৩১ মে অবধি লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

প্রথম দফার লকডাউনে সংক্রমণ কমার বদলে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে অবধি ফের দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি করা হয়। তৃতীয় দফায় ৪ মে থেকে ও চতুর্থ দফায় ১৮ মে থেকে ৩১ মে অবধি লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

4 / 11
কেমন ছিল লকডাউনের সেই দিনগুলি? দেশের জনগণের গতিবিধিতে যেমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তেমনই রাশ টানা হয়েছিল যান চলাচলেও। অফিসের বদলে নতুন কর্মস্থল হয়ে ওঠে বাড়িই। দোকান-পাটে ভিড় এড়াতে দড়ি, গোল  দাগও কেটে দেওয়া হয়। কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় জরিমানা, গ্রেফতারও করা হয়।

কেমন ছিল লকডাউনের সেই দিনগুলি? দেশের জনগণের গতিবিধিতে যেমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তেমনই রাশ টানা হয়েছিল যান চলাচলেও। অফিসের বদলে নতুন কর্মস্থল হয়ে ওঠে বাড়িই। দোকান-পাটে ভিড় এড়াতে দড়ি, গোল দাগও কেটে দেওয়া হয়। কোভিড বিধি ভঙ্গ করায় জরিমানা, গ্রেফতারও করা হয়।

5 / 11
তবে লকডাউনের কারণে বিপুল আঘাত নেমে আসে দেশের অর্থনীতিতে। বন্ধ হয়ে যায় একাধিক প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুষ। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১,৭০,০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। বিনামূল্যে রেশন, আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয় সরকারের তরফে।

তবে লকডাউনের কারণে বিপুল আঘাত নেমে আসে দেশের অর্থনীতিতে। বন্ধ হয়ে যায় একাধিক প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন হয়ে পড়েন লক্ষাধিক মানুষ। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১,৭০,০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। বিনামূল্যে রেশন, আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয় সরকারের তরফে।

6 / 11
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীও পিএম কেয়ার ফান্ডের সূচনা করেন। একাধিক রাজ্যের তরফেও আর্থিক তহবিলের ঘোষণা করেন। দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল অর্থ জমা পড়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে সাহায্য করতে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীও পিএম কেয়ার ফান্ডের সূচনা করেন। একাধিক রাজ্যের তরফেও আর্থিক তহবিলের ঘোষণা করেন। দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল অর্থ জমা পড়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে সাহায্য করতে।

7 / 11
সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতেই হাসপাতালের বেড উপচে পড়ে রোগীতে। বিকল্প হিসাবে একাধিক ট্রেনের কোচ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হয়। ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই রাত ন'টা থেকে নয় মিনিটের জন্য প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতেই হাসপাতালের বেড উপচে পড়ে রোগীতে। বিকল্প হিসাবে একাধিক ট্রেনের কোচ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা হয়। ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই রাত ন'টা থেকে নয় মিনিটের জন্য প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

8 / 11
লকডাউনের সময়ই দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্রও উঠে আসে। কাজ হারিয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক পায়ে হেটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথেই হাজারো শ্রমিক প্রাণ হারান। কেন্দ্রের তরফে বিশেষ কয়েকটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও সেই সুযোগ পাননি অনেকেই। ঔরঙ্গাবাদে রেল লাইনে শুয়ে থাকা প্রায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে কাটা পড়েন। বিহারের স্টেশনে মায়ের মৃতদেহের পাশে তিনবছরের শিশু খেলা করছে, এমন করুণ দৃশ্যও ফুটে ওঠে।

লকডাউনের সময়ই দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্রও উঠে আসে। কাজ হারিয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক পায়ে হেটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথেই হাজারো শ্রমিক প্রাণ হারান। কেন্দ্রের তরফে বিশেষ কয়েকটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও সেই সুযোগ পাননি অনেকেই। ঔরঙ্গাবাদে রেল লাইনে শুয়ে থাকা প্রায় ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে কাটা পড়েন। বিহারের স্টেশনে মায়ের মৃতদেহের পাশে তিনবছরের শিশু খেলা করছে, এমন করুণ দৃশ্যও ফুটে ওঠে।

9 / 11
৩০ মে-র পর থেকে শুরু হয় আনলক পর্ব। সম্পূর্ণ লকডাউনের বদলে ঘোষণা করা হয় কন্টেনমেন্ট জ়োন। এরপর মোট চার দফায় আনলক পর্বের মাধ্যমে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্বের মতো স্বাস্থ্যবিধি রয়েই গিয়েছে।

৩০ মে-র পর থেকে শুরু হয় আনলক পর্ব। সম্পূর্ণ লকডাউনের বদলে ঘোষণা করা হয় কন্টেনমেন্ট জ়োন। এরপর মোট চার দফায় আনলক পর্বের মাধ্যমে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্বের মতো স্বাস্থ্যবিধি রয়েই গিয়েছে।

10 / 11
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফের উর্ধ্বমুখী হয়েছে সংক্রমণের সূচক। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের গণ্ডি পার করছে। একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লকডাউন, নাইট কার্ফু।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফের উর্ধ্বমুখী হয়েছে সংক্রমণের সূচক। বর্তমানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের গণ্ডি পার করছে। একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লকডাউন, নাইট কার্ফু।

11 / 11