লখনউ: প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে ডেঙ্গুি রোগীকে প্লেটলেটের বদলে মোসাম্বির রস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রয়াগরাজে ডেঙ্গি রোগীদের পরিবারবর্গকে প্লেটলেট বলে রক্তরস বা প্লাজমা বিক্রি করার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর ও পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশে এই মুহূর্তে ডেঙ্গির প্রকোপ ক্রমে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্লেটলেটের চাহিদা। পুলিশ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতার হওয়া ১০ জন ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে প্লাজমা নিয়ে সেগুলিকে প্লেটলেট হিসেবে নয়া প্যাকেটে ভরছিল। তারপর বিক্রি করছিল ডেঙ্গি রোগীদের পরিবারবর্গকে।
জেলা পুলিশ প্রধান শৈলেশ পান্ডে বলেছেন, “আমরা এই ব্যক্তিদের প্রয়াগরাজে প্লেটলেট হিসাবে ফলের রস বিক্রি করা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে না, তেমনটা ঘটছে না। প্লাজমাকে প্লেটলেট বলে চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে ডেঙ্গি খুব বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে, প্লেটলেটের চাহিদাও বেড়েছে। এই ব্যক্তিরা তারই সুযোগ নিচ্ছিল এবং দরিদ্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, কিছু নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, যানবাহন এবং প্লাজমার পাউচ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মোসাম্বির রস কাণ্ডের পর, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়ে জেলা পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, প্যাকেটে ফলের রস ছিল কি না, তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। সেই তরলের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল আসার পরই সঠিক চিত্রটা জানা যাবে। “ফলের রস”-এর তত্ত্ব, এখন পর্যন্ত শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চাতেই রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে তরলটিকে ফলের রস বলেই দাবি করা হয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয় এবং তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাটির বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই প্রয়াগরাজে অবৈধ উপায়ে রক্ত সরবরাহের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই জালিয়াতি ব্যবসার পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।