শ্রীনগর: ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণার পর থেকে ক্রমশ উত্তাপ বেড়েছে উপত্যকায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অনেকে। আর সেই বিক্ষোভের জেরে ইউএপিএ আইনে ১০ জনকে গ্রেফতার করল কাশ্মীর পুলিশ। বুধবার ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবারই পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সাদা ঘোষণার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে শুরু করে একদল লোক। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যে করে পাথর ছুড়তেও শুরু করে তারা। বুধবার মধ্যরাতে অনেক একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিকরা। আর তারপরই শুরু হয়েছে এই ধরপাকড়। আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত সাম্প্রদায়িক স্লোগান, দেশ- বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তও ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। শ্রীনগরের সিনিয়র পুলিশ সুপার রাকেশ বালওয়াল জানিয়েছেন মাইসুমা থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে সাফ বার্তা দেওয়া হয়েছে, আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়, এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না।
বুধবারই পুলিশের সঙ্গে স্লোগান ইয়াসিন মালিকের সমর্থকদের সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহর জুড়ে নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। তবে কেউ এই ঘটনায় আহত হননি। উপত্যকা জুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বুধবারই কাশ্মীরের টেলি অভিনেত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছর বয়সী আমরীনের। আহত হয়েছে তাঁর ১০ বছরের ভাইপোও।
বুধবার দিল্লিতে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনআইএর বিশেষ আদালতের তরফে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনআইএ মালিকের মৃত্যুদন্ডের আবেদন জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফাঁসি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মেয়েকে অপহরণ থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের বায়ুসেনার আধিকারিকদের উপর হামলা, একাধিক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ইয়াসিন মালিকের। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।