নয়া দিল্লি: জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর নেতৃত্বে ১০টি দলের মোট ১১ জন নেতা সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। নীতীশ কুমারের সঙ্গে থাকবেন প্রধান বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদবও।
গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নীতীশ কুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জাতিভিত্তিক জনগণনা বা আদমশুমারি করা হবে। দুই সপ্তাহ আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। এরপরই বিরোধীদের একজোট করে সর্বদবলীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দুয়ারেই হাজির হচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবারই দিল্লি পৌঁছেছেন নীতীশ কুমার। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি বলেন,, “জাতি ভিত্তিক জনগণনার দাবি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব আমরা।” ১০ দলের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, শিক্ষামন্ত্রী বিজয় চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা অজিত শর্মা, সিপিআইএমএল-র মেহবুব আলম, এআইএমআইএমের আখতারুল ইমান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এইচএএম দলের সভাপতি জিতনরাম মাঝি, ভিআইপি প্রধান এবং মন্ত্রী মুকেশ সাহনীও উপস্থিত থাকবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি তোলা হলেও গত মাসে সংসদে কেন্দ্রের তরফে কেবল তফশিলি উপজাতি-জনজাতিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা তোলা হলে বিহারে ফের একবার বাকি জাতিকেও স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ওঠে। বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবও বাকি বিরোধী দলগুলির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা যেন জনগণনার দাবিতে মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ২০১১ সালে কংগ্রেস সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় যে আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করা হয়েছিল, সেই সমীক্ষার নথিও সামনে আনেনি বিজেপি সরকার।”
জাতি ভিত্তিক জনগণনা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছিলেন, “বর্ণ ভিত্তিক জনগণনায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে, এই কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জনগণনা হবে কিনা, তা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রের উপর নির্ভর করছে, আমাদের কাজ কেবল নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রাখা। এক বর্ণের মানুষজন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে, আরেক বর্ণের মানুষ নয়, এটা ভাবা উচিত নয়। কারণ, সকলের স্বার্থেই জনগণনা করা হবে।”
উল্লেখ্য, বিহারের বিজেপি বিধায়করাও জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিকে সমর্থন জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও কেন্দ্রের কাছে জাতিভিত্তিক জনগণনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সামাজিক সুবিচারের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন। কংগ্রেসেরও দাবি, কেন্দ্র জনগণনার দায়িত্ব থেকে পিঠ বাঁচিয়ে পালাচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘মন ছুঁয়েছে ওনার প্রতিটি কথা’, নমোর সাক্ষাৎ পেতে পায়ে হেঁটেই ৮১৫ কিমি পথ পাড়ি দিচ্ছে কাশ্মীরী যুবক