নয়া দিল্লি: দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই বড়সড় রদবদল। একসঙ্গে বদলি করে দেওয়া হল ১২ জন আইএএস অফিসারকে। শুক্রবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পরই ১২ জন আইএএস অফিসারকে বিভিন্ন বিভাগে বদলি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনার নির্দেশেই এই বদলি করা হয়েছে।
দিল্লি সরকারের সার্ভিস বিভাগের প্রকাশিত বদলির নির্দেশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বিশেষ সচিব উদিত প্রকাশ রাই, জিতেন্দ্র নারায়ণ, হেমন্ত কুমার, বিবেক পাণ্ডে, শূরবীর সিং, গরিমা গুপ্তা সহ মোট ১২ জন আইএস অফিসার অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। উদিত প্রকাশ রাইকে বদলি করে প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেন্দ্র সিং রাওয়াতকে তাঁর জায়গায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জিতেন্দ্র নারায়ণকে দিল্লি ফিন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির জেলাশাসক হেমন্ত কুমারকে দিল্লি ফিন্যান্স কর্পোরেশনের এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিবেক পাণ্ডে এতদিন প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব ছিলেন। নতুন নির্দেশে তাঁকে তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব করা হল। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত সিভিল সার্ভিস ইউনিয়নের ডিরেক্টরও করা হয়েছে তাঁকে। শূরবীর সিংকে কো-অপারেশনের সচিব পদ থেকে সরিয়ে বিদ্যু দফতরের সচিব করা হয়েছে। অফিসার গরিমা গুপ্তাকে পরিবহন দফতরের বিশেষ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বিশেষ সচিব উদিত প্রকাশ রাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দুটি দুর্নীতির মামলায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
২০০৫ সালের আইএএস অফিসার আশীষ মাধাওরাও প্রশাসনিক দফতরের সচিব ও মুখ্যসচিবের স্টাফ অফিসার ছিলেন। এই দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে এবার পরিষেবা সচিবও করা হয়েছে। নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের ডিরেক্টর কৃষ্ণা কুমারকে রেজিস্ট্রার কোঅপারেটিভ সোসাইটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই সমস্ত আধিকারিকরা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।