নয়া দিল্লি: রাজধানীর অলিন্দে চরমে বিরোধী সুর। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব বারবার মুলতুবি হয়েছে বিরোধীদের হই-হট্টগোলে। তাঁদের অভিযোগ বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই চলতি অধিবেশন বানচাল করেছে। এই অভিযোগ নিয়েই একদিকে তিরঙ্গা মিছিল বের করেছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে আজ সংসদে সান্ধ্য চা বৈঠকে গরহাজির থাকবে ১৩টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসও।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা একটি চা বৈঠকের আয়োজন করেছেন লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা। বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে আয়োজিত এই বৈঠকে কেন্দ্র-সহ সব বিরোধী দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চরমে তুলে এই বৈঠক থেকে মুখ ফেরালেন তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দল। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও বিরোধী দলের হই হট্টগোলে বারবার মুলতুবি হয়েছে চলতি সংসদ অধিবেশনে। ব্রিটেনে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়েছে অধিবেশন। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা এই ইস্যুতে রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এই নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের বাদানুবাদে পণ্ড হয় সংসদ অধিবেশন।
এদিকে বিরোধীরাও পিছু হটা নয়। তাঁরা আদানি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে। এই মামলায় যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্তের দাবিতে অনড় ছিলেন। গান্ধী মূর্তির সামনে থেকে শুরু করে এলআইসি অফিসে অভিযানও করেছে বিরোধী দলগুলি। তবে দাবি এক হলেও এই ইস্যুতে ভিন্ন ও ‘একলা চলো’ অবস্থান নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদ চত্বরে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির ধরনায় দেখা যায়নি তাদের। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে বৈঠকে গরহাজির থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া ফের তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ধরনা মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়েছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলগুলিকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। এবার বাকি বিরোধী দলগুলির মতো তৃণমূল কংগ্রেসও গরহাজির থাকছে আজকের সান্ধ্য বৈঠকে।