পর্ন দেখে ৯ বছরের বোনকে ‘ধর্ষণ’ ১৩ বছরের দাদার, প্রমাণ লোপাট করে দিল মা-দিদিরাই

Physical Assault-Murder: প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, ঘটনার দিন বাড়ির বাইরে খোলা দালানে একা শুয়েছিল নাবালিকা। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী, এলাকার ৫০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে জেরা করা হয়েছিল, কিন্তু সুরাহা মিলছিল না। এতেই পুলিশের আরও সন্দেহ বাড়ে পরিবারের উপরেই।

পর্ন দেখে ৯ বছরের বোনকে 'ধর্ষণ' ১৩ বছরের দাদার, প্রমাণ লোপাট করে দিল মা-দিদিরাই
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 27, 2024 | 4:55 PM

ভোপাল: বাড়ির দালান থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৯ বছরের নাবালিকার দেহ। গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। পরিবারের বয়ানে বেড়েই চলেছিল পুলিশের সন্দেহের তালিকা। কিন্তু জোরকদমে তদন্ত শুরু করতেই যে তথ্য সামনে এল, তা ভয়ঙ্কর। জানা গেল, আর কেউ নয়, নাবালিকার দাদাই খুন করেছে তাঁকে। খুনের আগে বোনকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাট করতে সাহায্য করেছিল মা ও দুই বড় দিদি। জেরায় চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আসতেই ১৩ বছরের কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

গত ২৪ এপ্রিল মধ্য প্রদেশের রেওয়ায় ৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে আসে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, ঘটনার দিন বাড়ির বাইরে খোলা দালানে একা শুয়েছিল নাবালিকা। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী, এলাকার ৫০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে জেরা করা হয়েছিল, কিন্তু সুরাহা মিলছিল না।

এতেই পুলিশের আরও সন্দেহ বাড়ে পরিবারের উপরেই। লাগাতার জেরা করতেই অপরাধ শিকার করে নেয় মৃত নাবালিকার দাদা। ১৩ বছরের কিশোর জানায়, পর্ন বা অশ্লীল ভিডিয়ো দেখেই প্রভাবিত হয়ে, তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন ওই কিশোর তাঁর বোনের পাশে শুয়েছিল। মধ্য রাতে ওই কিশোর ধর্ষণ করে তাঁর বোনকে।

বাবা যাতে জেনে না যায়, সেই ভয়ে ছোট বোনের গলা টিপে ধরে কিশোর। নাবালিকা মৃত, এই ভেবেই কিশোর উঠে গিয়ে তাঁর মাকে ডাকে। ঘুম ভেঙে যায় তাঁর দুই দিদিরও (১৭ ও ১৮ বছর বয়স)। ভাইকে বাঁচাতে তাঁরা বাইরের খাটিয়ার চাদর বদলে দেয়। এদিকে, সেই সময়ও বেঁচেছিল নাবালিকা। কিশোর দেখতে পেয়েই ফের গলা চেপে ধরে, শ্বাসরোধ করে খুন করে নাবালিকাকে।

এরপর ভোর হতেই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশকে জানায়, কোনও বিষাক্ত পোকা হয়তো কামড়েছিল নাবালিকাকে, যার জেরে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মিলতেই পরিবারের সদস্যরা বারবার বয়ান করতে শুরু করে। এরপরই সন্দেহ আরও গূঢ় হয়। জেরায় কিশোর স্বীকার করে নেয় অপরাধের কথা। অভিযুক্ত কিশোর, তাঁর মা ও দুই দিদিকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।