করোনার লড়াইয়ে বুক দিয়ে ভারতকে আগলাতে এগিয়ে এলেন আমেরিকার ১৩৫ সংস্থার সিইও

Apr 27, 2021 | 2:07 PM

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও আমেরিকার রাষ্ট্রনায়ক জো বাইডেনের ফোনে কথোপকথনের পর মার্কিন মুলুকের ১৩৫টি সংস্থার সিইও-এর সঙ্গে আমেরিকার সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।

করোনার লড়াইয়ে বুক দিয়ে ভারতকে আগলাতে এগিয়ে এলেন আমেরিকার ১৩৫ সংস্থার সিইও
ফাইল চিত্র।

Follow Us

ওয়াশিংটন: করোনার (COVID-19) লড়াইয়ে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই কঠিন সময়ে আমেরিকার শতাধিক শীর্ষ সংস্থার কার্যকরী আধিকারিক বা সিইও ভারতের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, ভারতকে যদি এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত না করা যায়, তা হলে গোটা বিশ্বের জন্যও এটা একটা খারাপ নজির তৈরি করবে। একদিকে হু হু করে বাড়ছে দেশের করোনাগ্রাফ। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গোদের উপর বিষফোঁড়ার ভূমিকায় অক্সিজেনের ঘাটতি। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ ভারতকে ‘রক্ষাকবচ’ দিতে উদ্যত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনে কথোপকথনের পর মার্কিন মুলুকের ১৩৫টি সংস্থার সিইও-এর সঙ্গে আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এভাবে মার্কিন সংস্থাগুলির এগিয়ে আসার জন্য সিইওদের সাধুবাদ দেন। কোভিড আবহে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক নিয়েও কথা হয় সেখানে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন এক কোম্পানির ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও।

আরও পড়ুন: উপকারের প্রতিদান, ভারতকে সম্পূর্ণ সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমেরিকা থেকে পিপিই কিট, অক্সিজেন ও করোনা প্রতিষেধকের কাঁচামাল আসবে ভারতে। পাঠানো হবে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরও। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ২০,০০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আসবে ভারতে। আইসিইউয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ভেন্টিলেটরও আসবে মার্কিনমুলুক থেকে। ইতিমধ্যেই অ্যাস্ট্রা জেনেকা ভ্যাকসিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে আনা হচ্ছে প্রচুর কাঁচামাল।

গুগল ভারতের করোনা পরিস্থিতির প্রতিটা মুহূর্ত নজরে রাখবে। আমেরিকান বিমান তৈরি সংস্থা লকহিড মার্টিন কার্গো ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার পাঠাবে। যা নিয়ে ভারতের ছোট শহরগুলিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য-সামগ্রী পাঠানো হবে। একাধিক মার্কিন সংস্থা এই বৈঠকে জানিয়েছে, ভারতে তাদের যে ফাঁকা অফিস পড়ে রয়েছে সেখানে চাইলে ভারত সরকার ভ্যাকসিন সেন্টার করতে পারে। শুধু আর্থিক সহায়তা বা জিনিসপত্র দিয়ে সহায়তাই নয়, ভারতের এই লড়াইয়ে আমেরিকা চাইছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শক্তি জোগাতে।

Next Article