লখনউ: সংসারে আর্থিক অনটন। দুবেলা ঠিক মতো খাবারই জোটে না। তবুও মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করেননি। ভাল শিক্ষার জন্য ভর্তি করেছিলেন বেসরকারী ইংরেজি মাধ্য়ম স্কুলে। সেই স্কুলের কারণেই প্রাণ খোয়াল কিশোরী। স্কুলের ফি জমা দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না ১৪ বছরের কিশোরী। দুঃখ-অপমানে আত্মহত্যা (Suicide) করল কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বরৌলিতে। মৃত কিশোরীর পরিবারের তরফে স্কুলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বরৌলির বরাদরির বাসিন্দা ছিল ওই কিশোরী। স্থানীয় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। সম্প্রতিই তাঁর পরিবারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়। সেই কারণে নির্দিষ্ট সময় মতো স্কুলের ফি জমা দিতে পারেনি। তবে চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ায়, স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায় কিশোরী। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া তো দূর, ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। পরীক্ষা দিতে না পারাতেই বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
মৃত কিশোরীর বাবা অশোক কুমার বলেন, “স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত আমার মেয়ে। নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। কিছু আর্থিক সমস্যার কারণে আমি ওর স্কুলের ফি জমা দিতে পারিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি অনুরোধ করেছিলাম যে অতিরিক্ত কিছু সময় দেওয়া হোক, আমি ফি দিয়ে দিতাম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই সুযোগ দেয়নি। শুক্রবার আমার মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। এরপরই বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে আমার মেয়ে।”
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে স্কুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্কুলের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।