Minor Physically Assaulted: পেটে ব্যাথার চিকিৎসা করাতে সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন নাবালিকা, ডেলিভারি রুমেই জঘন্য কাজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 21, 2022 | 1:35 PM

Rajasthan Teen: অত্যাচারের পর দাদার সঙ্গেই বাড়ি চলে আসে নির্যাতিতা কিশোরী। তার পর বাড়ির লোককে জানায় ঘটনার কথা। শুরুতে ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো নিয়ে দ্বিধায় ছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু ১৯ মে গুডামালানি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও পকসো আইনে (POCSO Act) মামলা দায়ের করে পুলিশ।

Minor Physically Assaulted: পেটে ব্যাথার চিকিৎসা করাতে সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন নাবালিকা, ডেলিভারি রুমেই জঘন্য কাজ
প্রতীকী ছবি

Follow Us

জয়পুর: সরকারি হাসপাতালের ডেলিভারি ঘরে ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী। পেটে ব্যাথার চিকিৎসা করাতে সরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন ওই নাবালিকা। তখনই তাকে ডেলিভারি ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে ছুরি বার করে নির্যাতিতাকে ভয় দেখায় অভিযুক্ত। নাবালিকাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। তার পর ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি কিশোরীর অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়োও অভিযুক্ত তুলে রেখেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে নির্যাতিতা। নাবালিকাকে হাসপাতালে ধর্ষণের ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে রাজস্থানের বারমার জেলায়। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে গুডামালানি থানায়। ওই থানার স্টেশন হাউস অফিসার মুলারাম চৌধরী নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা নির্যাতিতার বাড়ি উদানিয়ন কি ধানি গ্রামে। ওই গ্রাম গুডামালানি থানার অন্তর্গত। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের ডেলিভারি ঘরে নাবালিকার উপর নির্যাতন চালানো অভিযুক্ত যুবকের নাম নাসির খান।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা নাবালিকা জানিয়েছে, ১৬ মে দাদার সঙ্গে বারমারের সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিল সে। পেটে ব্যাথার চিকিৎসা করাতেই সেখানে যায় সে। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর ভিড় ছিল। তাই তার দাদা বাড়ির কাজ সারতে যায় বাজারে। সে সময় হাসপাতালে একাই বসেছিল ওই কিশোরী। তাকে একা দেখতে পেয়েই অভিযুক্ত পাশেই থাকা ডেলিভারি ঘরে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন চালায়। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছে, ডেলিভারি ঘরে যাওয়ার পরই তাকে ছুরি দেখায় অভিযুক্ত নাসির। মারধরও করে। তার পর যৌন নির্যাতন চালায়। সে সময় ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো অভিযুক্ত যুবক তুলে রাখে বলে পুলিশকে জানিয়েছে নির্যাতিতা। সে আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে, ওই ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও তাকে দিয়েছিল অভিযুক্ত।

অত্যাচারের পর দাদার সঙ্গেই বাড়ি চলে আসে নির্যাতিতা কিশোরী। তার পর বাড়ির লোককে জানায় ঘটনার কথা। শুরুতে ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো নিয়ে দ্বিধায় ছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু ১৯ মে গুডামালানি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও পকসো আইনে (POCSO Act) মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাসির ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুডামালানি থানার স্টেশন হাউস অফিসার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ইলেট্রনিক্স জিনিস সারাতে  নির্যাতিতার বাড়ি এসেছিল। নাবালিকার পরিবারের লোকের অনুমান, সে সময় থেকেই নির্যাতিতার উপর নজর রাখছিল সে।

Next Article