নয়া দিল্লি: দেশে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে ১৫ হাজার জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা গত আট মাসে সর্বাধিক। সব মিলিয়ে ৪১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লির করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৭। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দিল্লি। বিগত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে লাফিয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যেই রয়েছে করোনার নয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এখন একথা সকলেরই জানা, ওমিক্রন অন্যান্য করোনা ভেরিয়েন্ট গুলির তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় সংক্রমক
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার বলছিলেন, তৃতীয় ঢেউয়ে যেসব ব্যক্তিরা সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগেরই সংক্রমনের পরিমাণ মৃদু। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই সংক্রমণে হাসপাতলে ভর্তি সম্ভাবনাও কম। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল্লিতে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে ২৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, ৪ জানুয়ারি সংখ্যাটা ৫৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীতে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন এর চাহিদাও বাড়ছে। আগে ৯৪ জন রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল, এখন সেই সংখ্যাটা ১৬৮। ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীর সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে ১৪ হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে এই পরিসংখ্যান নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
এই পরিসংখ্যান সামনে আসার আগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছিলেন সংক্রমণ বললেও আপাতত দিল্লিতে লকডাউন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনি জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে সবথেকে বেশি করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আগে জানিয়েছিলেন, সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে প্রতিদিন যদি ১ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়, তার বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকাঠামো দিল্লি সরকারের রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানীর সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম কে সরকারের তরফে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের সাধারণ বেডের ৪০ শতাংশ ও আইসিইউ বেডের ৪০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করতে। আগামী দিনে দিল্লির পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : Alapan Banerjee: ফের ‘অস্বস্তিতে’ আলাপন, হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট