নয়া দিল্লি: এখনও ২০ হাজারের নীচেই রয়েছে দেশের করোনা (Corona) সংক্রমণ। বিগত বেশ কয়কদিন ধরেই নিম্নমুখী রয়েছে দেশের করোনা চিত্র (Corona report)। এরমধ্যে আবার ১০০ কোটির টিকাকরণের মাইল ফলক ছোঁয়ার পর থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হয়েছে দেশ।
বিগত কিছুদিন ধরেই সংক্রমণ গ্রাফ ২০ হাজারের নীচেই রয়েছে। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯০৬ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৬ হাজার ৩২৬ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৪৭৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন।
এদিকে, গতকালের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, ভয় ধরাচ্ছে দেশের মৃত্যুর গ্রাফ। গতকাল এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়ে দেশের মৃত্যর সংখ্যা হয়েছিল ৬৬৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমে তা হয়েছে ৫৬১ জনের।
তবে গোটা দেশে সংক্রমণ কমলেও শীর্ষে এখনও কেরল, তামিলনাড়ু মহারাষ্ট্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এখনও কেরলে (Kerala)। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯০৯ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৪ জনের। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭০১ জন। তবে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের অন্যদিকে কর্নাটকে একদিনে ৩৭১ জন আক্রান্ত। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৪০ জন।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৩ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২ ছুঁইছুই। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
এদিকে,চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। যেখানে কিছুদিন আগেও আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ গণ্ডির আশেপাশে ছিল সেখানে শনিবার সেই সংখ্যা ৯০০ পার করল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন জানাচ্ছে,গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭৪-এ। লাফিয়ে বাড়ল কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হন ২৪২ জন। আর শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল ২৬৮ জন।
আরও পড়ুন: J&K Mudslide Death: মাঝরাতে কাদামাটি ধুয়ে নিয়ে গেল একের পর এক তাঁবু, উপত্যকায় বিপর্যয়ে মৃত ৩, ঘরছাড়া ৩০ পরিবার